বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অর্জন কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। গতকাল বাড্ডা থানা বিএনপি আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি আন্দোলনে নিহত ১৯ জন ও আহত ৪০ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাড্ডা থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুল কাদের বাবু। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল ও আতাউর রহমান প্রমুখ।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের মানুষের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় চিন্তা করেন। তাঁর নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের জন্য ডাটাবেজ করা হয়েছে। সারা দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজে যুক্ত করা হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে হতাহতদের পরিবারের কাছে যাওয়া হচ্ছে, তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। প্রতিদিনই দলের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তিনি আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আরও বলেন, অর্থের পরিমাণ দিয়ে তাদের ত্যাগের মূল্য দেওয়া যাবে না। দেশের জন্য তাদের মর্যাদা অতুলনীয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেদিন আমি কারাগারে। যখন খবর এলো স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। তখন কারাগারে আনন্দ মিছিল শুরু হলো। কে কোন মামলার আসামি তার কোনো ঠিকানা নেই। সবার স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হলো কারাগার। সবার চোখে-মুখে নতুন স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস ফুটে ওঠে। সেদিন যদি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান না হতো তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেতেন না। আমিও কারাগার থেকে মুক্তি পেতাম না। এম এ কাইয়ুমও নির্বাসিত জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে আজ আমাদের মাঝে ফিরে আসতেন না। তাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত-আহতদের পরিবারের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।