স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখা করতে আসা প্রায় ৯৫-৯৭ শতাংশ মানুষই ব্যক্তিগত নানা সমস্যা এবং চাওয়া নিয়ে আসেন। জাতির সমস্যা-সংকট নিয়ে কেউ কথা বলেন না।’
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশ আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার : নাগরিক সমাজের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আহমেদ মুশতাক রাজা চৌধুরী এবং আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র ডিরেক্টর ড. শামস আল আরেফিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল। এ সময় অ্যালায়েন্স ও স্বাস্থ্য খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রসঙ্গে উপস্থাপনা পেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজানা করিম।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘একটা দারুণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশে একটা পরিবর্তন এনেছি। সেই আলোকে আমাদের এই মুহূর্তে অনেক সংস্কার করার সুযোগ রয়েছে। তবে যে বিষয়গুলো আমাদের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, এর মধ্যে এক নম্বর হলো- অনেক বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে আসতে পারি না। কারণ হলো আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নিজের ব্যক্তিগত মতের ওপরই বেশি দৃঢ় থাকি।
চিকিৎসায় খরচ কমানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচারের কারণে একটা বড় পরিমাণ টাকার অংশ জনগণের পকেট থেকে চলে যাচ্ছে। আমি কার্ডিয়াক সার্জন হওয়ায় এ বিষয়গুলো অনেক বেশি লক্ষ্য করি। প্রায়ই এমন রোগী আসতেন যে তার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এ জন্য সব সময় চেষ্টা করেছি কীভাবে তাদের জন্য কিছু করা যায়। এখন যেহেতু আমি স্বাস্থ্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছি, আমার অবস্থান থেকে চেষ্টা করব কীভাবে চিকিৎসায় আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচার কমানো যায়।