চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে দ্বিতীয় ধাপে প্রকল্প সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবে রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ বাদ দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় রামু-ঘুমধুম অংশ বাদ দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দ্বিতীয়বার সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে প্রকল্পের ব্যয় ৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা কমবে। এ প্রকল্পের অধীন প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মাণ হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় রামু-ঘুমধুম অংশ বাদ দিয়ে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দ্বিতীয়বার সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে নির্মাণ ব্যয় ১১ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা অনুমোদিত হলে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৩০ জুন।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, ঘুমধুম অংশ বাদ দেওয়ায় নির্মাণ ব্যয় কমছে। ফিডিক কন্ট্রাক্টের সব নিয়ম মেনে ডিপিপি সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে প্রকল্পের ব্যয় কমবে।
জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে রামু স্টেশন থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের ঘুমধুমে দুটি স্টেশন নির্মাণ করার কথা ছিল। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে রুট-১ এ যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে এ পরিকল্পনাটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেয়। এর আগে ২০১০ সালে তৎকালীন সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন দেওয়ার সময় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।