নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন, আট দফা দাবি এবং সারা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ও মঠ মন্দিরে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের ব্যানারে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বিভিন্ন বিভাগের ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীর সমাগম হয়। বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে বৈষম্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশে ২ কোটি সংখ্যালঘু রয়েছে যা উপেক্ষা করা যাবে না। আসন্ন পূজাকে কেন্দ্র করে উড়ো চিঠি আসছে বিভিন্ন মন্দিরে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে নইলে পূজা করতে দিবে না।’ এমন অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সবাইকে ধর্মীয় অধিকার বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। বিগত ১৮ বছর থেকে অদ্যাবধি আন্দোলন করা হচ্ছে। তাই এবার আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আশাবাদ তারা আমাদের পূর্ব ঘোষিত ৮ দফা দাবিদাওয়া পূরণ করে বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সচেষ্ট হবেন। এ ছাড়া দেশের ৬৪ জেলায় মডেল মন্দিরসহ সনাতনী কৃষ্টি, সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তরিত, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন এবং শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মহাপবিত্র রথযাত্রায় এক দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করাসহ আরও কিছু দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। দাবিগুলো হলো- সারা দেশব্যাপী ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে, উপাসনালয়ে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, হত্যা, জখমসহ বিভিন্ন ঘটনায় এ পর্যন্ত আহত-নিহত পরিবার, ভুক্তভোগীদের যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ সরকারি অর্থায়নে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শারদীয় দুর্গাপূজায় মোট তিন দিন অর্থাৎ ইতোমধ্যে এক দিনের বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি আছে। তার সঙ্গে দুই দিন (অষ্টমী, নবমী) যোগ করে মোট তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।