উৎপাদন খরচ কমিয়ে কীভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানো যায় সে চেষ্টা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। গতকাল রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে ফরিদা আখতার বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমরা ডিম আমদানি করতে চাই না। ডিম আমদানির সঙ্গে সে দেশের রোগজীবাণু আমাদের দেশে প্রবেশ করবে। এর ফলে পোলট্রি শিল্প টিকতে পারবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝি বন্যার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে, উৎপাদন কমে গেছে কিন্তু চাহিদা তো কমেনি। তাই গ্রাহক পর্যায়ে ডিম ও মুরগি সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্ট শিল্প, প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও পোলট্রি শিল্পের অবদান কোনো অংশে কম নয়। এ সেক্টর আমাদের ডিম ও মাংসের বিশাল চাহিদা মেটাচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।