বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল ডাকযোগে ও ইমেইলে এই নোটিস পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস-এর স্বত্বাধিকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক বরাবর নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। নোটিসে আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবিষ্যতে যে কোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া অনুমতি বাতিল চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিস পাঠানোর পর হাই কোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।