সিরাজগঞ্জে আদালতে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিরাজগঞ্জের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ (বর্তমানে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ) ফজল-এ-খোদা নাজিরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত অন্য তিনজন হলেন সিরাজগঞ্জের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক) মোছা. সালমা খাতুন, তৎকালীন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তানভীর আহম্মেদ ও সিনিয়র সহকারী জজ নিজাম উদ্দিন ফরাজী।
অভিযোগে বাদী মো. হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেন, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জ জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশপূর্বক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পাওয়া ৩৪ জন কর্মচারীর মধ্যে ২২ জনই ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সিরাজগঞ্জের উপরোক্ত তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজদের যোগসাজশে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি এবং আর্থিক লেনদেন হয়। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়োগ প্রদান করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, নিয়োগের দায়িত্বে থাকা বিচারকরা নিজেদের খাসকামরায় বসিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের গোপনে পরীক্ষা নেন।
সে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তাই ওই নিয়োগ বাতিল করে সাবেক আইনমন্ত্রীসহ চার বিচারকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হলো। অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি নিজে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ চার বিচারকের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।’ দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপপরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, ‘অভিযোগের কপি এখনো আমাদের কাছে আসেনি। হাতে পেলে তদন্ত শুরু করব।’