বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ক্ষমতায় ছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন তিনি। এজন্য কেউ ভারতের বিরুদ্ধে টুঁ-শব্দ করতেন না। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত রিকশাচালক সাইফুল ইসলামকে নতুন রিকশা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী আহমেদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের এখনো বাতিল করা হচ্ছে না কেন? এরাও তো সেই আওয়ামী লীগেরই সন্ত্রাসী। এলাকাগুলোতে এরাই তো বর্বরতা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমপি থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পর্যন্ত কেউ-ই শেখ হাসিনার গুম থেকে রেহাই পায়নি। এগুলো সব করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতের বিরুদ্ধে কেউ যদি টুঁ শব্দ করে তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই- এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল শেখ হাসিনা। এই কারণেই আবরারকে তারা হত্যা করে।
কত কাহিনি আমরা প্রতিদিন শুনেছি, শুধু কি আয়নাঘর? আমরা তো শুনেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৈরি করা আয়নাঘরের কথা। তিনি বলেন, এত দুর্নীতি-লুটপাট করেছে অথচ কাউকে টুঁ-শব্দ পর্যন্ত করতে দেয়নি। শেখ হাসিনা হয়তো জানতেন যে, কোনোদিন তার পালিয়ে যেতে হতে পারে, তাই তার কাছের আত্মীয় ও লোকদের দিয়ে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতার কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, গার্মেন্টসের মালিক যারা শেখ হাসিনার অত্যন্ত সুবিধাভোগী, তাদের গার্মেন্টসের লোকেরা এসে অন্যান্য নিরপেক্ষ শ্রমিকদের এখানে হামলা করছে। নজরুল ইসলাম কে? সালাম মুর্শিদি কে? এরা কি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী নয়? এরা কি আওয়ামী লীগের এমপি নয়? এদের গার্মেন্টস থেকে এসে কৃত্রিমভাবে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে, যেন ছাত্র-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়।