বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করতে হাসিনা সরকারের কিছু কর্মকর্তা এখনো সিস্টেমের ভিতরে ঘাপটি মেরে বসে আছে। কালক্ষেপণ করলেই সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা আবারও ষড়যন্ত্র করবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জনপ্রশাসনে শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত আমলাদের অপসারণের’ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, তারেক রহমান বলে দিয়েছেন, এই বিপ্লবী সরকারকে আমরা সমর্থন দেব। এই সরকারের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সরকারের বিরুদ্ধে যেন কেউ কথা বলতে না পারে সেই দিকে বিএনপির নজর রাখতে হবে। আমরা নজর রাখছি। বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা, আওয়ামী লীগ যেন আবার ক্ষমতায় এসে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না পারে। আজ আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। সেটা না হলে জনগণের ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অবিচার করেছে, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা তারেক রহমানকে বিনা কারণে সাজা দিয়েছে, খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে তারা এখনো বহাল তবিয়তে হাই কোর্টে আছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলব, এসব ঘাপটি মারা লোকদের বের করে দেন। না হলে আপনারা শান্তিতে আরেকটি নির্বাচন দিতে পারবেন না। তারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, এটা জনগণের ভাষ্য। শেখ হাসিনার অবৈধ এমপিদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি অভিযোগ করে ফারুক বলেন, এরই মধ্যে গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (বিজিএমইএ) ব্যবহার করে শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। এজন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে হবে।