কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন, সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ এজাহারনামীয় ১৪ আসামির বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এ আসামিরা এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় আদালতে তাদের বিরুদ্ধে বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন সাবেক সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, বেরোবি কর্মকর্তা রাফিউর হাসান, শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান ম ল, এসআই বিভূতিভূষণ, ওসি রবিউল ইসলাম, বেরোবি ছাত্রলীগ সভাপতি পামেল বড়ুয়া, ছাত্রলীগ নেতা টগর, বাবুল হোসেন ও শামিম মাহফুজ।
গতকাল দুপুরে এ তথ্য জানান মামলার আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন, শামিম আল মামুন, রায়হান কবির রায়হানুজ্জামান, কামরুন্নাহার খানম শিখা।
এজাহারনামীয় অন্য তিন আসামির মধ্যে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন আর পুলিশের মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন।
প্যানেল আইনজীবীরা জানান, এজাহারনামীয় মোট ১৭ আসামির ১৪ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই তাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। ১৮ আগস্ট শহীদ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১৩০-১৩৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে।