গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও তার বিদেশি মুরব্বিরা যারা আছে, তারা এ দেশের গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আন্দোলনের নামে শ্রমিকদের উসকে দিয়ে শিল্প ক্ষেত্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। গতকাল তিনি গাজীপুর শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে গণসংহতি আন্দোলন গাজীপুর জেলা শাখা আয়োজিত নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হোন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে সম্মানজনক স্থানে রাখতে হবে। তারা আমাদের অহংকার, মর্যাদার এবং সম্মানের পাত্র। তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের প্রতিটি পরিবার থেকে অন্তত একজনকে সরকারি চাকরি দিতে হবে, যাতে কারও কাছে তাদের মাথানত হয়ে থাকতে না হয়। গণসংহতি আন্দোলন গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায়, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটির সংগঠক ফজলুল হক ফারুক, কালিয়াকৈর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল আলম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাকির হোসেনের বাবা আবদুস সামাদ ও মা জান্নাতুল নাঈম, জাকারিয়া হাসানের পক্ষে স্ত্রী পাপিয়া, হাফেজ শরিফুল ইসলামের পিতা শুক্কুর আলী, আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে মাসুদ এবং আহতদের মধ্যে মো. নোমান জেহাদী, রেজিয়া বেগম, লিটন হোসেন।