সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী রুকমীলা জামান, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ তার পরিবারের ১৩ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এসব আদেশ দেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাজ্যে ৩৫০টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৯টিসহ অন্যান্য দেশেও বাড়িসহ অন্যান্য সম্পদ অর্জন করেছেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামান দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল দুদকের উপ-পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। এদিকে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ তার পরিবারের ১৩ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় গতকাল।
নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত অন্যরা হলেন- সাইফুল আলমের ছেলে আশরাফুল আলম ও আহসানুল আলম, ভাই মোরশেদুল আলম, সহিদুল আলম, রাশেদুল আলম ও আবদুস সামাদ, সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস, ভাই ওসমান গণি ও তার স্ত্রী ফারজানা বেগম, ভাই মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান ও মিশকাত আহমেদ। দুদকের মো. নূর-ই আলম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এদিকে পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।