পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, প্রতিটি প্রকল্পে গাড়ি কেনা হয়, এসব গাড়ি যায় কোথায়? সারা দেশে সরকারি গাড়ির একটা হিসাব করা হবে। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি একজন কর্মকর্তা তিনটি গাড়ি ব্যবহার করেন। নিজের গাড়ি টেকে বেশিদিন, কিন্তু সরকারি গাড়ি দ্রুত নষ্ট ও অপচয় হয়। সারা দেশে কত গাড়ি আছে তার একটা হিসাব করা হবে। কোথায় কোথায় ব্যবহার হচ্ছে। অপব্যবহার হচ্ছে কি না শিগগির আমরা তথ্য জোগাড় করব। কোনো গাড়ি নষ্ট হলে কীভাবে সেটি ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।
কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ কম, সে কারণে কর্মসংস্থান কম হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ কম হচ্ছে। আগের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। তবে চাঁদাবাজি তেমন একটা কমেনি বলে তিনি মনে করেন। জাপানি ঋণ নিরাপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপানি ঋণে বাস্তবায়িত কোনো প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে হয় না। জাপানের প্রকল্পে সুদও কম।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, চলতি প্রকল্পগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। এতে সময় একটু বেশি লাগছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম হওয়ায় প্রকল্প ধীরগতিতে এগোলে অর্থপ্রবাহ বাড়বে না। অর্থপ্রবাহ বাড়াতে আগের প্রকল্পের কাজ এগোতে হবে। নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তবে চলমান প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আগে ব্যয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা গাড়ি কেনার চেয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বাড়ানো, পার্ক ও লাইব্রেরি নির্মাণ, জলাধার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের টাঙ্গাইল পর্যন্ত স্থবির হয়ে আছে। সেখানে যথেষ্ট বিদেশি অর্থায়ন আছে। সুদের হারও কম। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমান সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুযোগসুবিধা বাড়িয়ে রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকই ভিসি ও প্রোভিসি হতে চান। তাঁরা পড়াতে চান না কেউ। এটা কেন হচ্ছে। কই আমি তো কখনো ভিসি হতে চাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব আছে। আমরা এখন বিবিএসের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছি। তারা যে হিসাব নিয়ে আসে আমি আইনগতভাবে শুধু স্বাক্ষর করা ছাড়া আর কিছুই দেখি না।