বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, তাঁর পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ংকর বধ্যভূমি। এ বধ্যভূমি যাতে তৈরি না হয়, পতিত স্বৈরাচারের পুনরুত্থান যাতে না ঘটে, আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয়, আর যেন কোনো মায়ের সন্তানকে হত্যা না করা হয় তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। গতকাল ডেঙ্গু প্রতিরোধে গুলশানে বিএনপির উদ্যোগে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী আহমেদ আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে তাদেরও অন্তরে সততার আলো নিয়ে খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। সে পথ, সে মত তৈরি করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে মাঠ দরকার সেটি তাদের তৈরি করতে হবে। তবে সেটি যেন প্রলম্বিত না হয়, দীর্ঘায়িত না হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা মহানুভবতা, মানবতা অবশ্যই রাখবেন। কিন্তু যারা নিজেরা মানবতা দেখায়নি, যারা মহানুভবতা দেখায়নি, যারা শেখ হাসিনাকে উদ্বুদ্ধ করেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে গুলি করতে, সেই স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ যদি প্রশাসনের মধ্যে থাকে তারা আপনাদের পদে পদে বাধা দেবে। তাদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে যারা ছিল, যারা নিরপেক্ষ ছিল তারা যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন, এসব মেধাবী লোককে আপনারা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বসান। সেটা না হলে দেশকে তারা বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। কারণ তাদের পেছনে একটি বিশেষ পরাশক্তির প্রভু আছে, যাদের আশ্রয়ে তারা আছে।