বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে আরও ৩৭ জন গরিব ও দুস্থ রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। গতকাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত হাসপাতালটিতে দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়। যৌথভাবে এ অপারেশন কার্যক্রমের আয়োজন করে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নেন ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট, ডা. তাসরুবা শাহনাজ, ডা. জেরিন পারভীন এবং ডা. নুসরাত লুবনা ইসলাম। এ বিষয়ে প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদ বলেন, অনেক মানুষ অর্থের অভাবে চোখের চিকিৎসা করাতে পারেন না। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা বিনামূল্যে অসহায় রোগীদের চোখের অপারেশন করে আসছি। আমরা দেশের দূরদূরান্তে গিয়ে বিনামূল্যে আই ক্যাম্প করি। সেখানে অপারেশনের রোগী বাছাই করে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। অপারেশন শেষে আবার তাদের নিজ বাড়িতে দিয়ে আসি। এ পুরো কার্যক্রমই আমরা আমাদের নিজ খরচে করে থাকি। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ চোখ নিয়ে অবহেলা করেন। শিশুদের কিছু জন্মগত চোখের রোগ হয়, যেটা বাবা-মা বুঝতে পারেন না। পরবর্তীতে শিশু স্কুলে গেলে সেসব সমস্যা ধরা পড়ে। তাই শিশুদের পাঁচ বছরের আগে চোখের স্ক্রিনিং করে নেওয়া দরকার। এ ছাড়া ৪০ বছরের পরে চোখে ছানিপড়াসহ বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাদেরও নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো দরকার। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজে একটি আই ক্যাম্প করা হয়। সেখানে ?১ হাজার ২০০ রোগীর চোখ পরীক্ষা করে ৪২০ জনকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। গতকাল সেই রোগীদের পঞ্চম ব্যাচের ৩৭ জনের চোখে অপারেশন করা হয়েছে। সারা দেশে চক্ষু ক্যাম্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ১৪৫ জন রোগীর চোখ বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বসুন্ধরা আই হসপিটালে চোখের ছানি অপারেশন করাতে আসা মোমেনা বেগম বলেন, আমি আগে চোখে ঝাপসা দেখতাম। টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমাদের এলাকার একজনের কাছে খবর পেয়ে আই ক্যাম্পে বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা করাতে যাই। পরে তারা চোখ পরীক্ষা করে অপারেশনের জন্য নিয়ে ঢাকায় আসে। আমার কোনো খরচ হয়নি। যারা আমার মতো অসহায় মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সাহায্য করলেন, আল্লাহর কাছে তাদের জন্য মন খুলে দোয়া করি।