রিকশাচিত্রে শোভা পাবে শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বীরত্বগাথা। রিকশাচিত্রে শিল্পীরা ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরছেন। কুমিল্লায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত রিকশাচিত্র শিল্পীদের কর্মশালায় প্রশিক্ষক শিল্পী এস এম মালেক এ চিত্র আঁকেন। সম্প্রতি কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকার এস এ নূর আলী আর্ট সেন্টারে কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।
শিল্পী এস এম মালেক বলেন, ‘আমাদের এ রিকশাচিত্র আশির দশকে বেশ দাপটে ছিল। কালক্রমে তা আজ বিলুপ্তির পথে। তবে রিকশাচিত্র একেবারে হারিয়ে যায়নি। এর জৌলুস ফেরাতে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করছি। এখানে আমাদের সিনেমা, ঐতিহ্যের সঙ্গে জাতির আত্মত্যাগ ও বীরত্বের গল্প তুলে ধরছি। এবার আমাদের রিকশাচিত্রে উঠে এসেছে শহীদ সাঈদ ও মুগ্ধর আত্মদানের বীরত্বগাথা। আমরা পর্যায়ক্রমে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের আরও গল্প ছবিতে তুলে ধরব।’ তিনি আরও বলেন, ‘রিকশাচিত্র এখন দেশ ছেড়ে বিদেশেও সুনাম ছড়াচ্ছে; বিদেশিদের মুগ্ধ করছে। এ শিল্পের বিদেশে শত কোটি টাকার বাজার রয়েছে।
আমাদের ছাত্ররা ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে এ শিল্পের ওপর কর্মশালা করেছেন। ইতোমধ্যে রিকশাচিত্র দেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিও পেয়েছে।’
অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থী শিল্পী জীবন, সিরাজ, এস এ নূর আলী, আওয়াল ও সজীব খন্দকার বলেন, ‘আমাদের তেমন লেখাপড়া নেই। ওস্তাদের কাছ থেকে আঁকা শেখা। ছবি আঁকার মাধ্যমে কুমিল্লা ও দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরছি।’
শিল্পী মোহাম্মদ শাহিন বলেন, ‘রিকশাচিত্র আমাদের লোক-ঐতিহ্যের ধারকবাহক। এর মাধ্যমে সময়ের গল্প তৃণমূলে দ্রুত পৌঁছানো যায়।’