কুতুবদিয়ায় গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে হামলার অভিযোগে কুতুবদিয়ায় সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিকসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কুতুবদিয়া থানায় মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুতুবদিয়া উপজেলার সংগঠক সাইফুল ইসলাম আরকান। উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ তাহের।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন কুতুবদিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুতুবদিয়া উপজেলার সংগঠক সাইফুল ইসলাম আরকান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির ঘোষিত এক দফা দাবির আন্দোলনে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের শিক্ষার্থীরা কলেজ গেট থেকে মিছিল নিয়ে বড়ঘোপ উপজেলা গেটের দক্ষিণ পাশে এসে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করলে এতে হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা। এতে কাজী তাহমিদ, কাইয়ুম, মোকায়দ বেগম, হিরা, আবির, শাকিল, সাদেকুর রহমান, রাকিব, মিটু, আজিব, রিজিকাসহ ২০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মাথা, চোখে, বুকে, মুখে, পিঠে, হাত-পা, হাঁটুসহ শরীরের নানা জায়গায় মারাত্মক জখম হয়। ওই দিনের ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার হুকুমের আসামি হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ তাহেরসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুতুবদিয়া উপজেলার সংগঠক সাইফুল ইসলাম আরকান বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় অভিযোগ করেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুতুবদিয়া উপজেলার আরেক সংগঠক মোহাম্মদ রিনওয়ানুল হক বাদী হয়ে কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ তাহেরসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।