‘দেশের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত পাঁচটি খাতের একটি স্বাস্থ্য খাত। এই দেশে সরকারি হাসপাতালে সেবা পেতে প্রতিটি স্তরেই টাকা গুনতে হয়। চিকিৎসা ব্যয়ের ৭২ শতাংশই রোগীকে নিজের পকেট থেকে ব্যয় করতে হয়। সব মিলিয়ে দুর্নীতির বেড়াজালে রুগ্ন হয়ে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত। অপ্রতুল বরাদ্দের ওপর সঠিক ব্যবহারের অভাব ও দুর্নীতির রাহুগ্রাসে স্বাস্থ্যসেবা পেতে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে।’ গতকাল ‘অপ্রতুল বাজেট এবং দুর্নীতির বেড়াজাল : স্বাস্থ্য খাতের রুগ্ন দশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক সংগঠন ‘সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ এই বৈঠকের আয়োজন করে। ‘সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডা. কাজী সাইফউদ্দীন বেননূরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ও দৃক পিকচার লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এম এইচ চৌধুরী লেলিন, বাংলাদেশ লাঙ ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. আবদুস শাকুর খান, এমিনেন্স অ্যাসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মো. শামীম হায়দার তালুকদার, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট ডা. মো. আবদুর রাজ্জাকুল আলম। সঞ্চালনা করেন সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ ফোরামের সদস্য ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত।
স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, বাজেট ব্যয়ের ক্ষেত্রে যে দক্ষতা প্রয়োজন, সেখানে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। বাজেট ব্যয়ের ক্ষেত্রে যদি দক্ষতার অভাব থাকে সেটাও কিন্তু অন্য একজনের জন্য দুর্নীতির সুযোগ করে দেয়। বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য খাতে অপ্রতুল বাজেট সত্ত্বেও এখানে দুর্নীতি ঠিকই হচ্ছে। তাই এই খাতে দুর্নীতি নির্মূলে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। শহিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি আমরা আগে প্রত্যক্ষ করেছি। কভিডের সময় ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্যের মাধ্যমে মাত্র ২৫০ টাকায় করোনা পরীক্ষার কিট উৎপাদন করতে চাইলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই কিটের অনুমোদন মেলেনি।