আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, সে সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব-উপসচিব ও কর্মকর্তাদের বহিষ্কার এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের চুক্তি বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য (এএফসি) নামের একটি সংগঠন গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাফিদ ভুঁইয়া ৬টি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- পুলিশের সংস্কার, প্রয়োজনে নাম ও ড্রেসকোড পরিবর্তন করে লোগো থেকে নৌকার ছবি সরানো; আন্দোলনকালে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আক্রমণে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সচিবসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বহিষ্কার ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা; আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে; গত ১৫ বছরের সরকারি নিয়োগ পুনঃনিরীক্ষণ করতে হবে; আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে নেতাদের রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচারের আওতায় আনা।
বিক্ষোভ সমাবেশে লেখক মোহাম্মদ ইসরাক আজিজ ফাহিম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে- আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে যেন গ্রেপ্তার না করা হয়। এটা প্রজ্ঞাপন আকারে আসা উচিত। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যা এ আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে পারছে না। তাছাড়া ফ্যাসিস্টদের বসানো রাষ্ট্রপতিকে এখনো অপসারণ করা হয়নি। আমরা দ্রুত তার অপসারণের দাবি জানাই।
আইন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, আমরা ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন দেখতে পাচ্ছি পুলিশ পুরনো ফ্যাসিবাদকে ফেরানোর চেষ্টা করছে। মব জাস্টিসকে বৈধতা দিচ্ছে। পুলিশের ড্রেসটা এখন মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আনতে হবে এবং পুলিশকে সংস্কার করতে হবে।
এ ছাড়াও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম তানিম, দপ্তর সম্পাদক আবরার অহিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান সাজেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।