পলিথিন বন্ধে সময় চেয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তার কোনোটাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করা হচ্ছে না। হুট করে নেওয়া সিদ্ধান্ত সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্লাস্টিক ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।
লিখিত বক্তব্যে প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং প্লাস্টিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক সামিম আহমেদ বলেন, যে লক্ষ্যে ২০০২ সালে প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তা গত ২২ বছরে অর্জন করা সম্ভব হয়নি। সাশ্রয়ী মূল্য, গুণগত মান ও সহজে ব্যবহারযোগ্য শপিং ব্যাগের বিকল্প উৎপাদন ও সরবরাহ সম্ভব হয়নি। পরিবেশ বাঁচাতে হলে রিসাইকেল, রিইউজের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিন্তা করেন। সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবেন কি না, সেটাও চিন্তা করেন। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের তালিকায় এমন কিছু পণ্য আছে, যার সঙ্গে জড়িত আছে কয়েক লাখ লোকের কর্মসংস্থান। এই খাতের সঙ্গে ১৩ লাখ ক্ষুদ্র বিক্রেতা জড়িত। সরকারের কোষাগারে প্রতি বছর ৪০ হাজার কোটি টাকা জমা হয়।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং, রোল ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু মোতালেব বলেন, বারবার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো, বাড়ির মালিকদের ভাড়া বাড়ানো, আগের সরকারের সময়ের চাঁদাবাজি, সরকারের দ্বিমুখী সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরা এমনিতেই ভালো অবস্থায় নেই। এর আগে যখন প্লাস্টিক বন্ধ হলো, তখন এই খাতের অনেক ব্যবসায়ী পথে বসেছিল। ২০০২ সালে পাটকে উৎসাহিত করতে শপিং ব্যাগকে বন্ধ করা হলো। কিন্তু দেখা গেল, আদমজী জুট মিলস বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলি, বিকল্প চলে এলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ হয়ে যাবে।