চাঁদাবাজি রোধ এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হয়েছে। গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জে. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)-সহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে এ নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাদিম মাহমুদ। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, শুধু কাগুজে টাস্কফোর্স ও ভোক্তা অধিদপ্তরের নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হলেও বাস্তবিক অর্থে দ্রব্যমূল্য কমেনি, বরং দিন দিন তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রচুর মুনাফা করে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি নামে-বেনামে চাঁদাবাজির কারণেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। নোটিশে ১০ দিনের মধ্যে কৃষক পর্যায় থেকে সরাসরি পাইকারি বাজারে অবাধে পণ্য প্রবেশের পরিবেশ তৈরি করা; ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের আইনের আওতায় আনা, প্রতিটি বাজারে ব্যবসায়িক সমিতির নেতাদের জবাবদিহির আওতায় আনা, পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আওতায় পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার বাস্তবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অসাধু-মজুতদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়েছে নোটিশে। এ ছাড়া নোটিশে নোটিশগ্রহীতাদের আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুক্রবার ব্যতীত অন্যান্য ছুটি বাতিল ঘোষণা করে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।