পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে ভাটা পড়েছে। ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চট্টগ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান ও উদ্ধার। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দাবি- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন থানা ও সরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনায় পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মাদকবিরোধী অভিযানে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাশেদ উদ জামান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর কিছুদিন মাদক উদ্ধার অভিযানে ভাটা ছিল সত্য। তবে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাদক উদ্ধার অভিযানে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে, যা পরবর্তী দুই মাস অব্যাহত থাকবে। এরই মধ্যে কয়েকজন গডফাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী তারেক আজিজ বলেন, ৫ আগস্ট কতিপয় দুর্বৃত্ত সিএমপির ১০টির মতো থানায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এসব ঘটনায় মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়ে পুলিশ। তবে বর্তমানে পুলিশের মনোবল আগের মতোই ফিরে এসেছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনায় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার শুরু করেছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সিএমপি এবং জেলার বেশকিছু থানায় হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কয়েকটি থানা। এ ঘটনাগুলোর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আইন প্রয়োগকারী সদস্যরা। এতে করেই মাদকবিরোধী অভিযানে পড়ে ভাটা। এ বিষয়ে কথা হয় সিএমপির একাধিক থানার ওসির সঙ্গে। তারা বলেন- বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কতিপয় নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় চলত মাদক ব্যবসা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতার পট পরিবর্তনের ফলে মাদক পৃষ্ঠপোশকদের প্রায় সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে আগের মতো মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ও মাদক উদ্ধার করা যাচ্ছে না। আগের মাদক বিক্রির স্পটগুলোতে যাতে ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হতে না পারে এ জন্য নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।