চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সবুর লিটনের অবৈধ সিগারেটের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার রমনা আবাসিক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ সিগারেটের ব্যান্ডরোল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। লিটনের অবৈধ সিগারেট কারখানার পার্টনার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার সাইফুর রহমান বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি টিম এ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিচের দিকে দুটি তালাবদ্ধ রুম পাওয়া যায়। ভাড়াটিয়াকে খুঁজে না পেয়ে পরে বাড়ির মালিকের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করি। ভিতরে আমরা বিপুল পরিমাণ স্ট্যাম্প ব্যান্ডরোল, সিগারেট পেপার এবং টিপিং পেপার পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে এগুলো অবৈধ বলে মনে হচ্ছে। এর পরও আমরা তদন্ত করে দেখব। অবৈধ হলে মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযান এখনো চলমান আছে, এর মধ্যে যদি কিছু পাওয়া যায় তাহলে তা জানানো হবে।’ ৮ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। জানা যায়, বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন। তাঁর এ দুর্নীতির সারথি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অভিযোগ রয়েছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর মাধ্যমে মন্ত্রী-প্যানেল মেয়রের জুটি গত চার বছরে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি দিয়ে লোপাট করেছেন কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি টাকা। এ দুর্নীতির অভিযোগ নজরে আসার পর তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা। জানা যায়, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ব্যান্ডরোল কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে বারবার অভিযান পরিচালনা করেছে বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু প্রতিবারই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে দুই প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর তারা ইন্টারন্যাশনালের কারখানায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।