২২ মার্চ, ২০১৭ ১০:০৭

গরমে শীতল যন্ত্রের চাহিদা বাড়ছে, প্রস্তুত ওয়ালটন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

গরমে শীতল যন্ত্রের চাহিদা 
বাড়ছে, প্রস্তুত ওয়ালটন

শীত শেষ। গরমও পড়েছে বেশ। বাড়ছে গরমের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতল যন্ত্রের চাহিদা। যার মধ্যে রয়েছে এয়ার কন্ডিশনার, এয়ার কুলার, সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, ওয়্যাল ও রিচার্জেবল ফ্যান ইত্যাদি। এসব পণ্যের চাহিদা মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়ালটন। 

সরবরাহ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে মজুদ। জলবায়ুর উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবে প্রতিবছরই তাপমাত্রা বাড়ছে। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, হঠাৎ অসহনীয় গরম পড়লে বিশেষ করে এসি, এয়ার কুলার, রিচার্জেবল ফ্যান, সিলিং- দেয়াল- টেবিল-প্যাডেস্টাল ও এগজাস্ট ফ্যানের চাহিদা রাতারাতি বেড়ে যায়। তখন চাহিদা মেটাতে উৎপাদকদের হিমশিম খেতে হয়। যে কারণে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
 
জানা গেছে, বাজারে নতুন নতুন মডেলের এসি ও ফ্যান ছাড়ছে ওয়ালটন। নতুন এসেছে এনার্জি সেভিং ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজির দেড় টনের এসি। আপকামিং মডেলের তালিকায় রয়েছে চার ও সাড়ে চার টনের সিলিং টাইপ এবং সাড়ে তিন টন ও চার টনের ক্যাসেট টাইপ এসি।
 
ওয়ালটনের এসি বিপণন বিভাগের ইনচার্জ আব্দুল বারী বলেন, চলতি বছর এসির সিংহভাগ বাজার দখলের লক্ষ্যে গতবারের চেয়ে ৫৭ শতাংশ বেশি এসি বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছে। বাজারে রয়েছে দেশের আবহাওয়া উপযোগী সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) সম্পন্ন অসংখ্য মডেলের এসি। এর মধ্যে আছে ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের দেড় টনের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। চলতি মাসেই ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির দুই টনের এসিও আসছে, যা সাধারণ এসির তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। 

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসির কনডেনসারে অ্যান্টি করোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এতে এসি হবে আরও বেশি টেকসই। ৩৫ হাজার টাকায় এক টন, ৪৩,৯০০ টাকায় দেড় টন এবং ৫৪ হাজার টাকায় দুই টনের ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে।

ওয়ালটনের প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে আকর্ষণীয় কালার ও ডিজাইনের নতুন মডেলের সিলিং, টেবিল, রিচার্জেবল, দেয়াল ও প্যাডেস্টাল ফ্যান। রুপালি, ক্রিম হোয়াইট ও নীল রঙয়ের চারটি মডেলের সিলিং ফ্যান, তিন মডেলের টেবিল ফ্যান, চারটি করে মডেলের প্যাডেস্টাল ও এগজাস্টেড ফ্যান ইত্যাদি।

ওয়ালটন ফ্যানের প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইবনে জাবেল বলেন, এবার দেশের বাজারে ১৪ লাখ ফ্যান বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন তারা। এর মধ্যে ৮ লাখ সিলিং ফ্যান, ৩ লাখ টেবিল এবং দেয়াল ফ্যান, রিচার্জেবল ও প্যাডেস্টাল ফ্যান প্রতিটি ১ লাখ করে বিক্রির টার্গেট। 
বাজারে ২৯৯০ টাকায় ওয়ালটনের হোয়্যাইট, অফ-হোয়্যাইট অথবা সিলভার কালারের ৫৬ ইঞ্চি সিলিং ফ্যান এবং ক্রিম হোয়্যাইট অথবা স্কাই ব্লু কালারের টেবিল ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে।

৪২৫০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে আকর্ষণীয় কালারের আটটি মডেলের রিচার্জেবল ফ্যান। আরও ৮ মডেলের দেয়াল ফ্যান মিলছে ২৭৯০ টাকা থেকে ৩৩০০ টাকার মধ্যে। সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। দেশব্যাপী দ্রুত ও নিঁখুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। 

সারা দেশে ৬৫ সার্ভিস সেন্টার ও ৩০০টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। বিক্রয়োত্তর সেবায় যুক্ত রয়েছেন প্রায় তিন হাজার প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান। 


বিডি প্রতিদিন/২২ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর