১৯ জুলাই, ২০১৭ ২৩:৫৮

আয়নাইজার প্রযুুক্তির এসি আনলো ওয়ালটন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আয়নাইজার প্রযুুক্তির এসি আনলো ওয়ালটন

গ্রাহকের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে সর্বাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের শুরুতে ওয়ালটন এয়ারকন্ডিশনারে সংযোজন করা হয়েছিল ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি। যা সাধারণ এসির তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এবার ওয়ালটন এসিতে নতুন সংযোজন হচ্ছে- আয়নাইজার প্রযুক্তি। এটি ব্যবহারের ফলে রুমের বাতাস হবে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত।  

আয়নাইজ   এবং   ইনভার্টার   প্রযুক্তিসংযোজনের ফলে গতবছরের তুলনায় এবার ৫৭ শতাংশ বেশি এসি বিক্রিরলক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ওয়ালটন। 

জানা গেছে, চলতি মাসেই বিশ্বের লেটেস্ট আয়নাইজার প্রযুক্তির এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। প্রথম ধাপে এই প্রযুক্তির ২৪ হাজার বিটিইিউ’র এসি বাজারে ছাড়া হয়েছে। যার দাম ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার৯’শ টাকা। এই প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউ’র এসি শীঘ্রই বাজারে আসছে। এছাড়া চলতি মাসেই ক্রেতারা পাচ্ছেন ২৪ হাজার বিটিইউ’রইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। 

এ ব্যাপারে আয়নাইজার সম্পর্কে ওয়ালটন এসি সোসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে রপ্রধান মো. ইসহাক রনি বলেন, এটি একটি উচ্চ প্রযুক্তির ডিভাইস। যা নেগেটিভ আয়ন সৃষ্টি করে রুমের বাতাস থেকে ধূলা, ব্যাকটেরিয়া ওবাজে গন্ধ ফিল্টারিং করে নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর ও বিশুদ্ধ বাতাস। এই প্রযুক্তিকে তিনি ‘লাং ডাক্তার’ নামে অভিহিত করেছেন। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের দাবি-
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) ও আন্তর্জাতিক উচ্চমান, গোল্ডেনফিনের ব্যবহার, সাশ্রয়ী মূল্য, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি,সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিতে ক্রয়ের সুবিধা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট থাকায় গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন এসি।   

জানানো হয়েছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে মানসম্পন্ন এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিও হচ্ছে। অত্যাধুনিক মেশিনারিজ স্থাপনের প্রেক্ষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক কাঁচামাল নিজস্ব কারখানায় তৈরির ফলে উৎপাদন খরচ কমেছে বহুলাংশে। ফলে বাজারে এসির দাম কমে এসেছে।

ওয়ালটন এসি বিপণন বিভাগের প্রধান আব্দুল বারী বলেন, চলতি বছর এসির সিংহভাগ বাজার দখলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫৭ শতাংশ। বাজারে ছাড়া হয়েছে দেশের আবহাওয়া উপযোগি অসংখ্য মডেলের এসি। এর মধ্যে   রয়েছে ১৮ হাজার বিটিইউ’র ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫’হাজার টাকা। চলতি মাসেই ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ২৪ হাজার বিটিইউ’র এসিও আসছে। বাজারে ৩৫ হাজার টাকায় ১০,৫০০ বিটিইউ’র, ৪৩,৯০০ টাকায় ১৭,২০০বিটিইউ ও ৫৪,৬০০ টাকায় ২১,০০০ বিটিইউ’র ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি পাওয়া যাচ্ছে। 

বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এসির কনডেনসারে অ্যান্টিকরোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এতে এসির স্থায়ীত্ব আরো বাড়বে। এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার বলেন, গোল্ডেন ফিন হলো এসির কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের পৃষ্ঠতলেক্ষয় ও মরিচারোধক  হাইড্রফিলিক আবরণ।   যা ধুলো, ময়লা, বাতাসের আর্দ্রতা ও উষ্ণতার কারনে সৃষ্ট ক্ষয় রোধ করে। সেই সঙ্গে তা কনডেন্সারেহিট এক্সেঞ্জারের স্থায়িত্ব ও কার্যকারীতা বাড়ায়। এটি ব্যবহারের ফলে ক্রেতাকে ঘনঘন এসি পরিষ্কার বা মেরামতের ঝামেলা পোহাতে হয় না। 

এছাড়া ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিতে সেন্সর থাকায় ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা বুঝে সেই অনুযায়ীরে ফ্রিজারেন্ট সরবরাহ করে এবং ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে কম্প্রেসার ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী  তাপমাত্রা সরবরাহ করে বিধায় এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। কম্প্রেসারের স্থায়ীত্বও বাড়ে।

বিডি-প্রতিদিন/১৯ জুলাই, ২০১৭/ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর