১৬ আগস্ট, ২০১৭ ২২:০৮

'স্টক মার্কেটের আগ্রাসনের ফলে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে কনজিউমার কনফিডেন্স বৃদ্ধি'

অনলাইন ডেস্ক

'স্টক মার্কেটের আগ্রাসনের ফলে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে কনজিউমার কনফিডেন্স বৃদ্ধি'

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামগ্রিক ভোক্তা আস্থা ৬৬.৯ পয়েন্টে আশাবাদী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, ছয় মাস আগে ৬২.৭ পয়েন্টে থেকে সামান্য উন্নতি হয়েছে, আজকের ভোক্তা কনফিডেন্সের মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অনুযায়ী আজ প্রকাশিত। শেয়ারবাজার (+৭.৩) এবং কর্মসংস্থান (+৫.১) এ একটি ঝুঁকিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা আত্মবিশ্বাসে ৪.২ পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। ১৮ টি এশিয়া প্যাসিফিক বাজারের ১১ টির মধ্যে ভোক্তা অনুভূতি স্থিতিশীল রয়েছে (সর্বশেষ জরিপ থেকে +/- ৫ পয়েন্ট)। সূচক এবং এর সহগামী প্রতিবেদনগুলি মাস্টারকার্ডের আর্থিক কার্যকারিতার সূচক হিসাবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চাঙ্গা হয়ে উঠার মধ্য দিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াতে কনজ্যুমার কনফিডেন্স বা ভোক্তাদের আস্থা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

বুধবার প্রকাশিত ‘মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অব কনজ্যুমার কনফিডেন্স’ বা ‘মাস্টারকার্ড ভোক্তা আস্থা সূচক’ শীর্ষক এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। দেশটির ভোক্তাদের আস্থা গত ছয় মাসে নিরাশা বা হতাশা থেকে ভীষণ আশাবাদে রুপ নিয়েছে। ফলে ১৯৯৫ সালের পরে এই প্রথম দক্ষিণ কোরীয় ভোক্তাদের আস্থা পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। একইভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিার কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট বা ভোক্তাদের মনোভাব তথা আস্থায়ও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।

‘মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অব কনজ্যুমার কনফিডেন্স’ বা ‘মাস্টারকার্ড ভোক্তা আস্থা সূচক’ শীর্ষক এ জরিপে ভারতের স্কোরই সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৩ পয়েন্ট কমেছে। তা সত্বেও দেশটির ভোক্তা আস্থা সূচক আশাব্যঞ্জক অবস্থায় রয়েছে। ভারতের স্কোর হলো ৮৬ দশমিক পয়েন্ট। মায়ানমারের ভোক্তা আস্থা সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। জরিপ মতে, ভারতে কোয়ালিটি অব লাইফ বা জীবনযাত্রার মান নিয়ে এবং মায়ানমারে শেয়ারবাজার নিয়ে নৈরাশ্য বা হতাশার কারণেই মূলত ভোক্তা আস্থা সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

চলতি ২০১৭ সালের এপ্রিল ও জুন মাসে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৮টি বাজার বা দেশের মোট ৯,১৫৩ জন্য ব্যক্তির ওপর এ জরিপ পরিচালিত হয়; যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬৪ বছর। এসব মানুষকে তাঁদের নিজ নিজ দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক উপাদান বা বিষয় সম্পর্কে ছয় মাসের পূর্বাভাস জানাতে বা ভবিষ্যতবাণী করতে বলা হয়। বিষয়গুলো হচ্ছে, অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা, নিয়মিত বা দৈনন্দিন আয়ের সম্ভাবনা, শেয়ারবাজার ও জীবনযাত্রার মান। শূন্য থেকে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এই সূচকের পয়েন্ট হিসাব করা হয়। এর মধ্যে শূন্য হলো একেবারে নিরাশার বা চরম হতাশাপূর্ণ, ১০০ হলো সর্বোচ্চ আশাবাদে পরিপূর্ণ এবং ৪০ থেকে ৬০ হচ্ছে নিউট্রল বা নিরপেক্ষ অবস্থান।

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ কিছু সমস্যার মধ্যে থাকলেও সার্বিকভাবে কনজ্যুমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক বেড়েছে। তবে কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, ও ফিলিপাইন প্রভৃতি উদীয়মান অর্থনীতির সহন ক্ষমতা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য এসব দেশের আগামী ছয় মাসের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে জনগণও বেশ আশাবাদী। এশিয়ার উদীয়মান দেশগুলোর সুবাদে সার্বিকভাবে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত থাকলেও সরকার ও ব্যবসায়িক খাতের আরো স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হওয়া দরকার। সেই সঙ্গে বাইরের আঘাত বা অভিঘাত মোকাবিলায়ও জোর দিতে হবে।”

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর