১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ২০:২৫

ক্রেতা টানতে এবার অনলাইনে হাতিল ফার্নিচার

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ক্রেতা টানতে এবার অনলাইনে হাতিল ফার্নিচার

ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের দর্শক ও ক্রেতাদের কাছে টানতে অভিনব উদ্যোগ হাতিল গ্রুপ। এবার ঘরে বসেই হাতিলের মনের মতো পছন্দসই আসবাবপত্র দেখে নিতে পারবেন পদ্মা পাড়ের ক্রেতা ও দর্শকরা। 

এরপর বাসা থেকেই পছন্দসই জিনিসটি অনলাইনে অর্ডারের পর তা ডেলিভারি দিয়ে যাবে বাংলাদেশের এই বিশিষ্ট ফার্নিচার গ্রুপ। এজন্য বিশেষ অ্যাপসও আনতে চলেছে তারা। 

ভারতের ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে হাতিল গ্রুপের চতুর্থ শোরুমের উদ্বোধন করে সংস্থার এমডি সেলিম এইচ রহমান একথা জানান। 

তিনি বলেন, হাতিলের যাবতীয় পণ্য এবার থেকে ঘরে বসেই দেখতে পাবেন ক্রেতারা। পণ্যটিকে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দেখতে পারবেন। যে কোন আসবাবপত্রের রঙ, ফেব্রিক পরিবর্তন করে তা দেখা যাবে। যেটা আসলে বাস্তবে শোরুমেও সম্ভব নয়। 

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই এ সম্পর্কিত অ্যাপসও ডেভলাপ করা হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমেও আমাদের বিভিন্ন পণ্যের দাম, অনলাইনে অর্ডারও করা যাবে। 

বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ফার্নিচারগুলোর মধ্যে একটি হলো 'হাতিল ফার্নিচার'। বাসা-বাড়ি, অফিস, শো-রুম ফার্নিচারসহ বিভিন্ন ফার্নিচার 'হাতিল' এর শাখাগুলোতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই ৭২ আউটলেট আছে। আরও কিছু বাড়ানো হবে। বাংলাদেশের পাশাপাশি এবার ভারতের বাজার ধরতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে এই সংস্থা। 

সেলিম এইচ রহমান জানান, 'ভারত যথেষ্ট বড় মার্কেট, আমরা আরও বড়ভাবে বাজারে আসতে চাই, আর সেকথা মাথায় রেখেই জামশেদপুরে হাতিল গ্রুপের চতুর্থ শো-রুমের উদ্বোধন করা হল। আগামী একমাসের মধ্যে ভারতের পাটনা, ইম্ফল, রাঁচি ও বর্ধমান-এই চারটি জায়গায় শোরুম চালু করা হবে। পোশাক শিল্পের মতো ফার্নিচার ব্যবসাকেও বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে ভারতের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান, মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশেও রফতানি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

পুরনো গাড়ি বদলে নতুন গাড়ি বা পুরেনো গহনা বদলে নতুন গহনার মতো এবার বাসার বা অফিসের পুরনো ফার্নিচার বদলে ফেলে নতুন ফার্নিচার দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে হাতিলের। সংস্থার এমডি জানান বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। 

জামশেদপুরে প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুটের এই নতুন শোরুমটিতে হাতিল ফার্নিচার এর উপযোগী আসবাবপত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সোফা, ডিভান, সেন্টার টেবিল, বেড ও বেড সাইড টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, ওয়ারড্রোব, ডাইনিং টেবিল, শোকেস, টিভি কেবিনেট, মিনি কেবিনেট, ডিরেক্টর, টেবিল, এক্সিকিউটিভ টেবিল, কম্পিউটার টেবিল, রিডিং টেবিল।

নতুন এই শোরুমটির অন্যতম পার্টনার রাজেশ আগরওয়াল জানান, আমরা অনেক সংস্থার পণ্য দেখেছি কিন্তু হাতিলের পণ্যের মান অন্যদের চেয়ে দশগুণ ভালো। দামও অনেকটা রিজিনিবল। তাছাড়াও এদের পণ্য অনেক আধুনিক প্রযুক্তির ও বেশি টেকসই। এখনও পর্যন্ত ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। প্রথম দিনেই প্রথম অর্ধেই প্রায় বিশ লাখ রুপির অর্ডার হয়ে গেছে বলেও জানান আগরওয়াল। 

বিডি প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর