১১ জুন, ২০১৮ ০৪:৫৫

বাজেট নিয়ে বেসিসসহ ৪ প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাজেট নিয়ে বেসিসসহ ৪ প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া

২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্যে ঘোষিত বাজেট নিয়ে আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সংগঠনগুলো। 

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বেসিসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ,  সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান। এছাড়াও বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, আইএসপিএবি’র সভাপতি এম এ হাকিম, বাক্যে’র সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বেসিস সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, Systems; Database, Development tools এবং Cyber Security আমদানীর ওপর থেকে শুল্ক কমানোর জন্য বেসিস থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ঢালাওভাবে এগুলোর পাশাপাশি Other Computer Software এর আমদানী শুল্ক ২৫% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে এবং মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় এরকম সফটওয়্যারও বিদেশ থেকে আমদানী উৎসাহিত হবে এবং দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প বিকশিত হবে না। পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার (ওঞঊঝ) ওপর আলোচ্য বাজেটে মূসক বাড়িয়ে ৫% করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার (ওঞঊঝ) ওপর থেকে সম্পূর্ণরূপে মূসক প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রস্তাব করেন তিনি। 

তবে, অনলাইনে পণ্য বিক্রয় তথা ই-কমার্স ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখায় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে এবং বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সেইসাথে ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রয়’ এবং ‘ভার্চুয়াল বিজনেস’ এর সংজ্ঞা স্পষ্টিকরণেরও অনুরোধ করেন তিনি। সকল বিভাগ ও দপ্তরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান ইন্টারনেট এর ওপর থেকে ১৫% ভ্যাট সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেন বেসিস সভাপতি। 

বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, মূসক অব্যাহতি সংক্রান্ত নতুন জারির ফলেল কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ১১% বৃদ্ধি পাবে যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্তরায়। কম্পিউটার, প্রিন্টার এবং ফটোকপিয়ারে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার এর শুল্কহার ১% থেে বৃদ্ধি করে ১৫% করা হয়েছে। তিনি ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার এর শুল্কহার পূর্বের অবস্থায় রাখার অনুরোধ করেন। 

আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, ইন্টারনেট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছানোর জন্য নেটওয়ার্ক ইকুইপমেন্ট-এর প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা ও সুলভ মূল্য আইসিটি উন্নয়নে প্রধান হাতিয়ার। ইন্টারনেট যন্ত্রপাতি যেমন, মডেম, ইথারনেট ইন্টারফেস কার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার ব্যাটারির উপর বর্তমানে ২২.১৬% ভ্যাট ও শুল্ক আরোপিত রয়েছে; যেটা এ শিল্পের প্রসারে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা এবং তা কমিয়ে ০% করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বাক্যে সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বলেন, বিপিও কোম্পানিসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আর্থিক ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়াও আইটি/আইটিএস রপ্তানীতে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনার স্থলে ৩০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার জন্যও তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর