২৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৮:১৪

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সূর্যমুখী প্রাণিসেবা

অনলাইন ডেস্ক

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সূর্যমুখী প্রাণিসেবা

সূর্যমুখী লিমিটেড গত ৯ বছর যাবৎ তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সাথে জড়িত যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।

সম্প্রতি সুর্যমুখী লিমিটেড এবং ফিনিক্স ইনসিওরেন্স তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবযন্ত্রে ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাণীর জাত উন্নয়ন, সফল প্রজনন, তথ্য সংরক্ষণ, গবাদি প্রাণী পালন ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং সর্বোপরি গবাদি প্রাণীর বীমা সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে সূর্যমুখী প্রাণিসেবা নামের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। 

UKaid এর সমর্থনে এবং Business Finance for the Poor in Bangladesh (BFP-B) -এর সহযোগিতায় Creating Cattle Insurance Market by Radio Frequency Identification (RFID) Tracking in Bangladesh নামের প্রকল্পের ফল হিসেবেই সূর্যমুখী প্রাণিসেবা আত্মপ্রকাশ করেছে।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) প্রযুক্তিনির্ভর এই প্রাণিবীমা প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্স ফার্মগেটে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রাণিবীমায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্তকরণ প্রযুক্তির প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে সূর্যমুখী লিমিটেড এবং ফিনিক্স ইন্সিওরেন্স।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার সূর্যমুখী প্রাণিসেবার সাফল্য কামনা করে বলেন যে, এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য জরুরি এবং লাগসই। সরকার এবং প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট সূর্যমুখীর এই প্রযুক্তিকে আগ্রহের সঙ্গে দেখবে।”

এই প্রযুক্তি যাতে সাধারণ কৃষকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সরকার এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের পরিপূরক হয়, সেই বিষয়ে উদ্যোক্তাদের নজর রাখতে বলেন তিনি।

সেমিনারে সূর্যমুখী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিদা হক বলেন, সূর্যমুখী প্রাণিসেবা প্ল্যাটফর্মের অংশ হিসাবে একটি বায়োসেন্সর (biosensor) গবাদি প্রাণীর পাকস্থলীতে স্থাপন করানো হয়। এই বায়োসেন্সর বা বোলাস প্রাণির পাকস্থলী থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী শনাক্তকরণ (RFID) প্রক্রিয়ায় তথ্য তৈরি এবং ক্লাউডে প্রেরণ করে। এই বোলাস এবং আনুষাঙ্গিক প্রযুক্তি অস্ট্রিয়ার smaXtec কোম্পানির তৈরী।”

নতুন প্রযুক্তির কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকা প্রসংগে তিনি বলেন, “স্ম্যাক্সটেক বোলাস গবাদি প্রাণীর পাকস্থলিতে অন্তত ৫ বছর কার্যকর থাকে এবং গবাদি প্রাণীর দেহে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। যুক্তরাষ্ট্রের Food and Drug Administration (FDA) ও Federal Communications Commission এবং জার্মানির German Agricultural Society (DLG) ল্যাবরেটরি থেকে এই প্রযুক্তিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।” 

সেমিনারের সহআয়োজক ফিনিক্স ইন্সিওরেন্সের নির্বাহী পরিচালক রফিকুর রহমান বলেন, সূর্যমুখী লিমিটেডের সাথে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাণিবীমার এই প্রকল্পের অভিনবত্ব যেন উপকারিতাকে ছাপিয়ে না যায়, সেই বিষয়ে মিডিয়াকে নজর রাখতে বলেন। 

বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, আমি সবজায়গায় সবাইকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তৈরি থাকতে বলি। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম যে সূর্যমুখী প্রাণিসেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে চতুর্থ বিপ্লব চলে এসেছে। এতে কি নেই? সবযন্ত্রে ইন্টারনেট, মেশিন লার্নিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, সব।

এছাড়াও সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. ফজলুল কাদের, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রোগ্রাম), পিকে এস এফ, জনাব মো. আরাফাত হোসেন, চ্যালেঞ্জ ফান্ড ম্যানেজার, বি এফ পি- বি এবং জনাব রিচার্ড শোবের, ব্যবস্থাপক, ব্যবসা উন্নয়ন, স্ম্যাক্সটেক।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর