১৫ মার্চ, ২০১৯ ১৮:৫৬
‘ক্ষুদ্র প্রয়াস রক্ষা করবে ইতিহাস’এর কার্যক্রম শুরু

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য অনুদান দেয়া যাবে বিকাশে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য অনুদান দেয়া যাবে বিকাশে

‘ক্ষুদ্র প্রয়াস রক্ষা করবে ইতিহাস’ শীর্ষক আর্থিক অনুদান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। অনুদান সংগ্রহের কাজটি আরো অংশগ্রহণমূলক ও সহজ করতে এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিকাশ। আজ ১৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদানের জন্য জাদুঘরের ওয়েবসাইটে একটি বিশেষ পেজ (পেমেন্ট গেটওয়ে) উদ্বোধন করে এই কার্যক্রম সূচনা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বিকাশ।

নতুন এই পেমেন্ট গেটওয়ে উদ্বোধনের ফলে দেশের যে কোন স্থান থেকে যে কোন সময় বিকাশের মাধ্যমে যে কেউ এই অনুদান দিতে পারবেন।  মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য ১০০, ৫০০ অথবা ১০০০ টাকা হারে যেকোন অংকের অর্থ অনুদান হিসেবে দেওয়া এখন বিশেষ সহজ হয়েছে। বিকাশ এই সেবাটি দিতে কোন সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করবে না।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটের https://www.liberationwarmuseumbd.org/bkash/ এই লিংক থেকে অনুদান দেওয়ার পেইজে প্রবেশ করতে পারবেন গ্রাহক। এরপর নিজের নাম ও ইমেইল আইডি এবং টাকার পরিমাণ দিতে হবে। পরবর্তী ধাপে বিকাশ নম্বর দিলে একটি ওয়ান-টাইম-পাসওর্য়াড (ওটিপি) গ্রাহকের মোবাইলে চলে যাবে। ওটিপি এবং পিন দিয়ে অনলাইনেই অনুদান সম্পন্ন করতে পারবেন।

অনুদান দেওয়ার পরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষ থেকে একটি সার্টিফিকেট এবং একটি স্মারক ছবি গ্রাহকের ইমেইল আইডিতে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এটা তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদের অনুদান প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন। আবার প্রিন্ট নিয়ে নিজের জন্য সংরক্ষণও করতে পারবেন। একজন গ্রাহক যতবার ইচ্ছা উল্লিখিত পরিমাণ টাকা অনুদান হিসেবে দিতে পারবেন। প্রতিবারই তিনি পাবেন সার্টিফিকেট ও স্মারকের একটি ছবি।

এই বিশেষ পেইজে আরও উপস্থাপন করা হয়েছে জাদুঘরে সংরক্ষিত বিভিন্ন স্মারকের ছবি এবং বর্ণনা, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে আরো আগ্রহী করে তুলবে।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংরক্ষণ ও ভবিষ্যতে বয়ে নিয়ে যেতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। খুব ছোট্ট পরিসরে জাদুঘর ইতিহাসের স্মারক সংরক্ষণের যে কার্যক্রম শুরু করেছিল তা এখন বহু মানুষের অংশগ্রহণে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ও সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে  এখনো অনেক কাজ বাকি এবং তা এগিয়ে নিতে অর্থ সংস্থান জরুরি। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেট থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিলে অনুদান দিয়ে এই প্রজন্মের সদস্যরা জাতির গৌরবময় ইতিহাস রক্ষার অংশী হয়ে উঠতে পারবেন। অগণিত মানুষের এমনি ক্ষুদ্র প্রয়াসের মিলনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আরো সুচারুরূপে ইতিহাস রক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, আজকের প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্বরূপ প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যে অসাধারণ অবদান তা আরো বেগবান করার কার্যক্রমে যুক্ত হতে পেরে বিকাশ গর্বিত। আমাদের আশা দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের অগণিত গ্রাহক এবং তাদের পরিজনেরা বিকাশের এই অনলাইন সেবা ব্যবহার করে এমন একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করার সুযোগ পাবেন।  

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর