১৯ মার্চ, ২০১৯ ০৫:৫১

ভ্যাটের হিসাব-নিকাশ...

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ভ্যাটের হিসাব-নিকাশ...

জনাব রফিক আহমেদ। রাজধানীর একটা নামী রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছেন অনেকদিন ধরেই। কিন্তু শুরু থেকেই মুখোমুখি হচ্ছেন ভ্যাটের হিসাব-নিকাশে।

রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন কাঁচামাল কেনার পর ম্যানুয়ালি প্রতিটি পণ্যের ভ্যাটের হিসাব রাখা, আবার বিভিন্ন পদের খাবারে ভ্যাট যুক্ত করে বিক্রি করার পরও আয়-ব্যয়ের একটা গড়মিল থেকেই যাচ্ছিল। বিভিন্নভাবে পরিস্থিতি সামলে নিলেও সম্প্রতি ভ্যাট সংক্রান্ত জটিলতায় কোম্পানীর মোটা অংকের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

এমন অবস্থায় আইনজীবি বন্ধু সায়েম আহমেদকে ফোন করলেন কি করা যায় পরামর্শ নিতে! সায়েম আহমেদ জানালেন, বছরে ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি টার্নওভারের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বা লেনদেন তথ্য এনবিআর অনুমোদিত সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এ বছর থেকেই এনবিআর এ নিয়ম চালু করেছে। রফিক আহমেদ অবাক হলেন!

গণমাধ্যম থেকেই তিনি জানতে পারলেন যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব নিয়ম মেনে ১১টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট সফটওয়্যার তৈরি করেছে যার মাধ্যমে কেনা কাঁচামালের ভ্যাট হিসাবও করা যাচ্ছে সহজে। আবার প্রস্তুতকৃত পণ্যের ভ্যাটসহ সঠিক দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করে উপযুক্ত লাভও পাওয়া যাচ্ছে। আর দেশের প্রচলিত ভ্যাট আইন অনুসারে হিসেবে গড়মিলও থাকছে না। কত টাকা ভ্যাট সরকারে কোষাগারে যাবে সেটাও থেকে যাচ্ছে সফটওয়্যারের হিসাবে।

এনবিআর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো হল- ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেড, ইনোভিয়া টেকনোলজিস লিমিটেড, ধ্রুপদি টেকনো কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, ডিভাইন আইটি লিমিটেড, সিম্ফনি সফটটেক লিমিটেড, বেস্ট বিজনেস বন্ড লিমিটেড, সিএসএল সফটওয়্যার রিসোর্সেস লিমিটেড, এলাইড ইনফরমেশন টেকনোলজি লিমিটেড এবং যুবসফট ইনফরমেশন সিস্টেমস লিমিটেড। এসব অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত ভাবে ঝুঁকি এড়িয়ে ভ্যাট প্রদান করা যায়।

রফিক সাহেব ভাবলেন ভ্যাট নিয়ে এত ঝামেলা পোহানোর চেয়ে ১১টির মধ্যে যেকোন ১টি সফটওয়্যার কিনে ফেলবেন। আবার ভাবলেন, ১১টির মধ্যে কোনটি তাঁর প্রতিষ্ঠানের সাথে ভাল যায় সেটি একবার যাচাই করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো।

তিনি এসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করলেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট দেখে তিনি জানলেন, আগামী ১৯শে মার্চ ২০১৯ আইসিসিবি, বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিতব্য একটি আয়োজনে অংশ নেবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন আয়োজনটিতে যাবেন তিনি, স্টলগুলো ঘুরে দেখবেন। তিনি আয়োজনটির তথ্য জানতে আয়োজকদের ওয়েবসাইটে গেলেন (http://softexpo.com.bd/)।

ওয়েবসাইট থেকেই জানলেন এর নাম বেসিস সফট এক্সপো ২০১৯। উদ্যম আর নিত্যনতুন ভাবনার সাথে তাল মেলাতে টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি  স্লোগান নিয়ে ১৯শে মার্চ ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে বেসিস সফটএক্সপো। এই আয়োজনের মধ্যেই প্রদর্শনী জোন হিসেবে থাকছে ‘ভ্যাট জোন’। এখানেই খুঁজে পাওয়া যাবে তাঁর দরকারের এনবিআর অনুমোদিত সবগুলো ভ্যাট সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান।

বেসিস সফটএক্সপোর ওয়েবসাইট থেকে আরো জানতে পারলেন যে, প্রদর্শনী এলাকাকে দশটি জোনে ভাগ করা হয়েছে যেখানে থাকবে ২৫০টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্টল। থাকবে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি পরখ করে দেখার জন্য এক্সিপেরিয়েন্স জোন, ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন। থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যে থাকছে বি-টু-বি ম্যাচ মেকিং সেশন, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন। আরো আয়োজন করা হবে কর্পোরেট আওয়ার, যেখানে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক উচ্চপদস্থ কর্পোরেট কর্মকর্তা।

শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাপ আর বরাবরের মতো গেমিং ফেস্ট তো থাকছেই। আহমেদ রফিক ভাবছিলেন, কোথায় ছিলাম আর কোথায় এসে গেছে দেশ। এবার নিশ্চিত আমরা ঘুড়ে দাঁড়াবোই, দাঁড়াবো।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর