২২ মার্চ, ২০১৯ ১৭:২১

ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াসের বাছাইপর্ব সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক

সাত বিভাগীয় শহরে প্রতিভা অন্বেশনের পর ঢাকার আয়োজনের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী প্রতিযোগীতা ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াসের বাছাই পর্ব।

শুক্রবার ঢাকার কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে প্রাথমিক বাছাই পর্বে  সহস্রাধকি  প্রতিযোগী অংশগ্রহন করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজের (এএফবিএল) উদ্যোগে ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’ নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামী আদর্শ তৈরিতে ভুমিকা রাখছে বলে বলে আয়োজকদের ভাষ্য। বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন, যারা ক্বিরাত, ইসলামিক জ্ঞান, হামদ-নাত এবং আযান এ সমানভাবে পারদর্শী।  
রাজধানীর বাছাই পর্বে ১০ জন সেরা প্রতিযোগী নির্বাচিত হন যারা  বাকি সাত বিভাগের সেরা ৪৪ প্রতিযোগীর সাথে জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্তপর্বে অংশগ্রহন করবেন বলে জানান কর্মকর্তারা।
আয়োজকরা জানান প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্বে বিজয়ী ৫ লাখ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ীকে যথাক্রমে দুই ও এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিজয়ীদের স্কলারশিপের সুযোগ দেওয়া হবে। 
এএফবিএলের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মাইদুল ইসলাম বলেন, এবছরের ইসলামিক জিনিয়াসে শিশুদের অংশগ্রহন গত তিন আয়োজনের চেয়ে বেশি ছিলো। অভিভাবকদের আগ্রহ আমাদের উৎসাহিত করেছে।  শিশুদের মাঝে শুদ্ধ ইসলামিক মানবিক মূল্যবোধ বিকাশ ও জাগ্রত করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে করে নবীন শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে ধর্মীয় বিষয়ে নিজেদের পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।
দেশ জুড়ে সকল বাছাই পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারূক, ইসলামী সংগীত শিল্পী জাফর সাদেক এবং এটিএন বাংলার এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্বারী একেএম ফিরোজ।
রাজধানীর আগে কুমিল্লাথেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া রাজশাহী এবং খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আঞ্চলিক পর্ব। আঞ্চলিক সেরা প্রতিযোগিদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় আয়োজন করা হবে কিশোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই ইসলামী প্রতিযোগিতার চুড়ান্তপর্ব।
দেশের নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামী আদর্শ তুলে ধরার জন্য ২০১৬ সাল থেকে ‘ফ্রুটিকা ইসলামিক জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ। আয়োজকরা বলছেন প্রতিযোগিতাটি শিশুদের মানবিক বিকাশে অবদান রাখছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসিত হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর