শিরোনাম
সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

নোয়াখালীতে পাঁচ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত মা-মেয়ে

নোয়াখালীতে পাঁচ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত মা-মেয়ে

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে অপহৃত গৃহবধূ প্রিয়ংকা রানী দাস (২২) ও তার একমাত্র শিশুকন্যা অহনা রানী দাসকে পাঁচ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অপহৃত প্রিয়ংকা রাণী দাস(২২) চাটখিল পৌরসভার বিজন চন্দ্র দাসের স্ত্রী।

প্রিয়ংকার স্বামী বিজন চন্দ্র দাস জানান, গত বৃহস্পতিবার চাটখিল থেকে রিজার্ভ সিএনজি অটোরিকশা যোগে সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াছেদপুর গ্রামে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন প্রিয়ংকা। সাথে স্বামী বিজন চন্দ্র দাস, তিন বছরের শিশুকন্যা অহনা রানী দাস ও বৃদ্ধ মা ছিলেন। শুক্রবার প্রিয়ংকার ছোট বোনের স্বর্ণবস্ত্র (ফর্দ) হওয়ার কথা ছিল। তাই কেনা-কাটার উদ্দেশ্যে স্বামী বিজন চন্দ্র বজরা বাজারে নেমে যান। এরপর প্রিয়ংকার বাবার বাড়ির কাছাকাছি আসামাত্র তিনজন যুবক অস্ত্র নিয়ে অটোরিকশাটির পথ রোধ করে তাতে উঠে পড়ে। এক পর্যায়ে সবাইকে জিম্মি করে ফোনে একটি মাইক্রোবাস এনে শ্বাশুড়ীকে অটোরিকশায় রেখে প্রিয়ংকা ও তার মেয়েটিকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ড্রাইভার প্রিয়ংকার শ্বাশুড়ীকে চাটখিলে রেখে যায়। প্রিয়ংকার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পেয়ে ড্রাইভারকে ফোন দিলে জানতে পারেন প্রিয়ংকা ও তার মেয়ে অপহৃত হয়েছে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রিয়ংকা ও তার কন্যা সন্তান অপহরণে প্রিয়ংকার স্বামী বিজন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে। দ্রুত অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা করেন।

বিডি-প্রতিদিন/১৩ অক্টোবর ২০১৪/আহমেদ

সর্বশেষ খবর