পঞ্চগড়ে করতোয়ার তীরে মঙ্গলবার রাতে বসেছিল অনুসন্ধিৎসুদের হাট। রাত জেগে আকাশের দিকে তাকিয়ে উল্কাবৃষ্টি দেখল শ'খানেক মানুষ। দেখল মেঘমুক্ত আকাশে কোটি তারকার মাঝে জ্বলন্ত উল্কার ছুটোছুটি।
মঙ্গলবার উল্কাবৃষ্টি পর্যবেক্ষনে শহরে করতোয়া নদীর তীরে বাঁধের ওপর ক্যাম্পের আয়োজন করে অনুসন্ধিৎসুচক্র বিজ্ঞান সংগঠন পঞ্চগড় শাখা। রাত ১১টা থেকে একটানা ভোররাত ৩টা পর্যন্ত উল্কাবৃষ্টি পর্যবেক্ষণ চলে। রাত ৩টার পর আকাশে কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে থাকায় ক্যাম্পের সমাপ্তি টানা হয়।
চক্রের সদস্যরা ছাড়াও অর্ধ শতাধিক উৎসুক লোকজন অংশ নেয় এ ক্যাম্পে। পর্যবেক্ষণকারীরা ৩-৪ মিনিট পর পর উল্কাপাত দেখতে পান।সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ওমর ফারুক, আতিক, পারভেজ, রুদ্র, ফাহিম, মামুন, মাহফুজ, নির্ভিকসহ কমবেশি সকলেই ৭/৮টি করে উল্কাপাত দেখতে পান। সব মিলে ক্যাম্পে প্রায় ৩৫টির মত উল্কাপাত দেখা যায়। তবে ১টা ৫০ মিনিটে যে উল্কাটি পতিত হয় তা ছিল ক্যাম্পের দৃশ্যমান সবচেয়ে বড় উল্কা। যার স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ৩ সেকেন্ড। উল্কাটি পশ্চিমাকাশে পড়ার সময় কিছুটা ধোয়াও দেখা যায়।
আয়োজনকারীরা জানান, অরিওন বা কালপুরুষ তারামন্ডল হতে উল্কাবৃষ্টি বিচ্ছুরিত হচ্ছে। এই উল্কাবৃষ্টির নামকরণ করা হয়েছে 'অরিওনিড মোটিওর শাওয়ার'। পৃথিবী যে কক্ষপথটি দিয়ে যাচ্ছে সেটি ধুমকেতুর কক্ষপথ। হ্যালির ধুমকেতু থেকে উল্কাপাতের উৎপত্তি। ধুমকেতুটির লেজের অংশের ধুলিকনাগুলোই উল্কাবৃষ্টি হয়ে বায়ুমন্ডলে দেখা যায়। বায়ুমন্ডলের ঘর্ষণে জ্বলে উঠে এসব উল্কাপাত আকাশেই নিঃশেষ হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২১ অক্টোবর ২০১৪/আহমেদ