মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

বগুড়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বড় বোন নিহত ছোট বোন আহত

বগুড়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বড় বোন নিহত ছোট বোন আহত

বগুড়া শহরের নওদাপাড়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বড়বোন নাজনীন আক্তার (৮) নিহত এবং ছোট বোন নাজিয়া আক্তার (৬) আহত হয়েছে। আহত নাজিয়া শহরের টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আজ সকাল ১০টায় দুই বোন একসাথে মাদ্রাসা যাওয়ার সময় বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক পার হতে গিয়ে দ্রুতগামীর একটি মাইক্রোবাস তাদেরকে ধাক্কা দিলে এঘটনা ঘটে।

এদিকে এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসি। এসময় ঢাকা-বগুড়া ও রংপুর মহাসড়কের উভয় পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। সংবাদ পেয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি গতি নিয়ন্ত্রক নির্মাণের আশ্বাসে এলাকাবাসি অবরোধ তুলে নেয়। তারা স্থানীয় নওদাপাড়া নবীগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ও বগুড়া শহরতলীর বারপুর মধ্যপাড়ার জাবেদ আলীর কন্যা।

জানা যায়, সকাল ১০টায় নাজনীন ও নাজিয়া দুই বোন এক সাথে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে মহাসড়ক পার হতে গিয়ে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গিয়ে আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাজনীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাপাতালে (শজিমেক) এবং নাজিয়াকে টিএমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

এঘটনার পর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, জেলা পুলিশ বিভাগের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খান বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফায়জুর রহমান ঘটনা স্থলে পৌঁছে এলাকাবাসির দাবী মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা পৌনে ১২টায় অবরোধ তুলে নেয়। অবরোধ তুলে নেওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পর শজিমেকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দুপুর দেড়াটায় নাজনীন মারা যায়।

বগুড়ার নওদাপাড়া নবীগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল বাকি জানান, দুপুর দেড়টায় নাজনীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এর আগে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে উল্লেখিত স্থানে গতিরোধক নির্মাণের দাবী মেনে নিলে এলাকাবাসি অবরোধ

তুলে নেয়।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফায়জুর রহমান জানান, বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২১ অক্টোবর, ১৪/ সালাহ উদ্দীন


 

সর্বশেষ খবর