যশোরের শার্শায় ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটি বর্তমানে নাভারণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। উপজেলার নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে শার্শা থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার আলী হোসেন নামের এক যুবক যশোর থেকে তার খালাত বোনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল। নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়া পৌঁছলে ৭-৮ ছিনতাইকারী সড়কে দড়ি বেঁধে তাদের গতিরোধ করলে তারা মোটরসাইকেলসহ পড়ে যায়। এ সময় ভাই আলী হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে ছিনতাইকারীরা পালাক্রমে বোনকে ধর্ষণ করে। পরে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।কুচেমোড়া গ্রামের লোকজন বুধবার ভোরে তাদের উদ্ধার করে শার্শার বাঁগআঁচড়া সাতমাইল এলাকার জোহরা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। মেয়েটি জানান, ধর্ষণকারীদের মধ্যে এক যুবকের এক হাত কাটা ছিল। মেয়েটি কয়েকজনের নামও জানায় পুলিশকে।
জোহরা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. হাবিব জানান, ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাঁগআঁচড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঁগআঁচড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বায়েজিদ হোসেন জানান, ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা (নাভারণ) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে।
আসামিদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ওই স্থানে প্রতিনিয়ত ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ বিষয়টি কখনোই আমলে নেয়নি। ফলে এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বিডি-প্রতিদিন/২২ অক্টোবর ২০১৪/আহমেদ