বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

শেরপুরে দুই উপজেলার কমিটি নিয়ে গ্রুপিং চরমে

শ্রীবর্দী-ঝিনাইগাতি উপজেলা নিয়ে শেরপুর জেলার ৩ নম্বর আসন গঠিত। এই আসনের বর্তমান সরকারদলীয় এমপি প্রকৌশলী ফজলুল হক চাঁনকে পাশ কাটিয়ে ওই দুই উপজেলার কমিটি ভেঙে দিয়ে মনগড়া নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতা-কর্মীরা। এর প্রতিকার চেয়ে শ্রীবর্দী উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও অঙ্গ-সংগঠনের ৬৪ জন নেতা প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৫ অক্টোবর চিঠি দিয়েছেন। এর আগে দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের কাছেও লিখিত অভিযোগ করা হয়। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় স্থানীয় এমপি দেশের বাইরে ছিলেন। সদ্য ভেঙে দেওয়া শ্রীবর্দী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খশরু অভিযোগ করেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা আগামী সম্মেলনে বিনা বাধায় নেতা নির্বাচিত হতেই নিজ অনুসারীদের নেতা নির্বাচিত করছেন। নবগঠিত শ্রীবর্দী উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খোকা বলেন, উদ্দেশ্য জানি না। তবে এমপিকে পাশ কাটিয়ে কমিটি করা ঠিক হয়নি। ঝিনাইগাতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মস্তুফা বলেন, এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধ্বংস করে কেউ ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে। ঝিনাইগাতি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জমসেদ আলী বলেন, স্থানীয় এমপি ও একাংশের নেতা-কর্মীদের না জানিয়ে কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই ঠিক হয়নি। ঝিনাইগাতি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সভাপতি এসএস আবদুল্লাহেল ওয়ারেছ নাঈম জানান, ব্যক্তিগতভাবে এমপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তিনি আহ্বায়ক কমিটির প্রথম মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। ফজলুল হক চাঁন এমপি বলেন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনকে নিয়ে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আমি মিলে কমিটি করার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে না জানিয়ে পকেট কমিটি করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের ওই দুই উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত কুমার দে ভানু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় স্থানীয় এমপি উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর