বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে ঢুকে ভাংচুর, চার সাংবাদিক আহত

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে ঢুকে ভাংচুর, চার সাংবাদিক আহত

একদল অস্ত্রধারী আজ দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। অস্ত্রধারীদের অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ফাইজার চৌধুরী, দি নিউ নেশন প্রত্রিকার চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি মিজানুল হক মিজান, বৈশাখী টেলিভিশন প্রতিনিধি মরিয়ম শেলী ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি রাজিব হাসান কচি।

এছাড়াও প্রেসক্লাবের সামনে থাকা সাংবাদিকদের দুটিসহ ৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে অস্ত্রধারীরা। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।

জানা গেছে, আজ বিএডিসির ঠিকাদারি কাজের সাথে সম্পৃক্ত সরকার সমর্থিত দু'দল যুবকের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে বিএডিসি এলাকা ছিল সরগরম। বেলা ১২টার দিকে প্রকাশ্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া শুরু করে অস্ত্রধারীরা। অস্ত্রধারীদের একটি গ্রুপ বেলা সোয়া ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব অতিক্রম করার সময় কয়েকজন সাংবাদিক প্রেসক্লাবের হলরুম থেকে রাস্তায় বের হন। এসময় অস্ত্রধারীরা হঠাৎ প্রেসক্লাবে ঢুকে ভাংচুর শুরু করে। অস্ত্রধারীরা প্রেসক্লাবের সামনে থাকা ৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। তারা প্রেসক্লাবের ভেতরে প্রেসক্লাবের সামনের থাই গ্লাস ও ভেতরে ঢুকে চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে।

এসময় অস্ত্রধারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাংবাদিক ফাইজার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে কোপ মারে। তিনি দ্রুত সরে দাঁড়িয়ে আত্মরক্ষা করেন। ওইসময়ই অস্ত্রধারীরা দি নিউ নেশন পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি মিজানুল হক মিজান, বৈশাখী টেলিভিশন প্রতিনিধি মরিয়ম শেলী ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি রাজিব হাসান কচিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এরা রক্তাক্ত জখম হন।

প্রেসক্লাবে থাকা সাংবাদিকরা জানান, অস্ত্রধারীদের সকলের বয়স ১৯-২০ বছরের মধ্যে। তারা অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রেসক্লাবে ঢুকে হামলা করে। এসময় সাংবাদিকদের অনেকে আত্মরক্ষার জন্য প্রেসক্লাবের বাথরুমে ঢুকে আশ্রয় নেন।

ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে কর্মরত সকল সাংবাদিক শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাংবাদিকরা জরুরী সভায় মিলিত হন। সভা থেকে আজ সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা ও শুক্রবার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা চেয়ে গণ জিডি করার সিদ্ধান্ত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আব্দুল হান্নান প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেন। এসময় তারা সকলেই হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আটক করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান বলেন, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ বা এর কোন সংগঠনের সাথে যুক্ত নন।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ অক্টোবর, ১৪/ সালাহ উদ্দীন


 

সর্বশেষ খবর