শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক

নিয়মিত সুদ পরিশোধ করেও খেলাপি মামলার আসামি

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আমগাছী গ্রামের মসলেম উদ্দিন ২০১০ সালের মার্চ মাসে তার মুদি দোকানের জন্য সিসি ঋণ নেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে। দুই লাখ টাকার ওই ঋণের বিপরীতে ২০১১ সালে খেলাপি হওয়ার আগেই ১ হাজার ৯৫০ টাকা সুদ প্রদান করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সময়ে সুদসহ ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে রবিবার ব্যাংকের বাকি টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে জানতে পারেন ২০১১ সালে তার নামে ঋণখেলাপির মামলা করেছেন ওই ব্যাংকের মাঠ কর্মকর্তা আবদুল মালেক। এতদিন মামলার কথা গোপন রাখা হয়। এ কারণে এখন মসলেম উদ্দিনকে ব্যাংকের টাকা দেওয়ার পাশাপাশি মামলার খরচ বাবদ অতিরিক্ত ১১ হাজার ৫৫৭ টাকা দিতে হবে। টাকা জমা দিতে তাকে অনুমতি নিতে হবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। শুধু মসলেম উদ্দিন নন, দুর্গাপুরের শতাধিক ব্যক্তি রাকাব থেকে ঋণ নিয়ে এখন বেকায়দায় পড়েছেন। ব্যাংকের নির্ধারিত সুদ দেওয়ার পরেও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তাদের নামে মামলা করেছেন মাঠ কর্মকর্তা আবদুল মালেক। এখন এই শতাধিক ব্যক্তিকে মামলার খরচ বাবদ অতিরিক্ত ১২ হাজার টাকা করে গুনতে হচ্ছে। রাকাব দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক জিয়াউল হক বলেন, 'মাঠ কর্মকর্তা আবদুল মালেক ভুল করে গেছেন। যেহেতু মামলা হয়ে আছে এবং সেই খরচও ঋণের লেজার বইয়ে উল্লেখ আছে। কাজেই সেটি আর মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই।'

তিনি আরও জানান, অনিয়ম করে ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ কারণে তাকে দুর্গাপুর থেকে চারঘাটে বদলি করা হয়েছে।

ঋণগ্রহীতা মসলেম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, 'নির্ধারিত সময়ে সুদের টাকা দেওয়ার পরও আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখন ঋণের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে।'

এ ব্যাপারে মাঠ কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, মামলা করতে হলে ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে তার কোনো হাত ছিল না। ব্যবস্থাপকের নির্দেশে মামলাগুলো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর