শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

৯৫ নটিক্যাল মাইল ঘুরে মংলা আসছে জাহাজ

মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের খনন কাজে ধীরগতি

৯৫ নটিক্যাল মাইল ঘুরে মংলা আসছে জাহাজ

মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুটের রামপাল অংশ গতকাল পরিদর্শন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ-ভারত নৌ-বাণিজ্য প্রটোকলভুক্ত নৌ-পথের মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের মৃত প্রায় ২২ কিলোমিটার অংশের খনন কাজ চলছে ধীরগতিতে। গত চার মাসে মাত্র চার কিলোমিটার খনন করতে পেরেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। আন্তর্জাতিক এ নৌরুটটি বন্ধ থাকায় সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে ৯৫ নটিক্যাল ঘুরে মংলা বন্দরে চলাচল করছে জাহাজ। হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। বিআইডাব্লিউটিএ’র দাবি, খনন কাজের দরপত্র আহ্বান করার পর দেশীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাতে অংশ না নেওয়ায় কাজে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে, গতকাল বাগেরহাটের কালিগঞ্জ-ডাকরা পয়েন্টে খনন কাজের অগ্রগতি ও ভরাট হয়ে যাওয়া কুমারখালী নদী পরিদর্শন করেছেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ড. মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার।
জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক নৌরুটের বাগেরহাটের ঘষিয়াখালী-মংলা চ্যানেলটি পাঁচ বছর আগে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। ফলে ওই রুট দিয়ে জাহাজসহ সব ধরনের কার্গো চলাচল বন্ধ থাকে। বিআইডাব্লিউটিএ’র উদ্যোগে গত ১ জুলাই চ্যানেলের ২২ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র চার কিলোমিটার। এলাকাবসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রবহমান খালগুলো দখল করে দীর্ঘদিন চিংড়ি চাষ করে আসছেন। এতে কুমারখালী নদীর প্রবাহিত পানি ওই শাখা খালগুলোয় প্রবেশ করতে না পারায় চ্যানেলটি ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবু সাঈদ বলেন, খাল দখলমুক্ত করতে না পারলে সরকারের নেওয়া এ উদ্যোগ কোনো কাজে আসবে না। উল্লেখ্য, ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই অর্থবছরে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই চ্যানেলের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী অংশে খনন কাজ শুরু করে একপর্যায়ে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বিআইডাব্লিউটিএ। পরিত্যক্ত ওই এলাকায় ভরাট হওয়া কুমারখালী নদী এখন মানুষ হেঁটে পার হচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর