রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়

বিপাকে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা

জেলার সদরপুর উপজেলার ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোর্ডের নির্ধারিত ফি থেকে কয়েক হাজার টাকা বেশিও নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার বাইশরশি শিব সুন্দরী একাডেমিতে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বেশকিছু শিক্ষার্থীর স্বজনরা। অভিযোগ রয়েছে নানা অজুহাত সৃষ্টি করে শতাধিক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে। শিব সুন্দরী একাডেমির প্রধান শিক্ষক অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে এক হাজার ৫১০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ৬২০ টাকা করে নেওয়ার কথা রয়েছে। বোর্ডের কড়া নির্দেশ সত্ত্বেও তা মানছেন না শিব সুন্দরী একাডেমির শিক্ষকরা। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়টির বেশকিছু গরিব ছাত্রছাত্রী। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোর্ডের নির্ধারিত ফি বাদ দিয়ে অতিরিক্ত দুই/তিন হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। কারও কারও কাছ থেকে আরও বেশি অর্থ আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবদুল বারেক জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্দেশেই অতিরিক্ত কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত ক্লাস করাচ্ছেন। তাদের এই বাড়তি শ্রমের দাম তো দিতে হবে। তা ছাড়া রমজানের সময় শিক্ষকরা স্পেশাল কোচিং করিয়েছে শিক্ষার্থীদের। বন্ধের সময় শিক্ষকরা যে পরিশ্রম করেছে তার জন্যই এ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এক বিষয়ে যারা ফেল করেছে তাদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক আবদুল বারেক আরও বলেন, স্কুলের উন্নয়ন, শিক্ষকদের অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়াসহ নানা দিক বিবেচনা করেই কিছু টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, যারা অতিরিক্ত টাকা দিতে পারছে না তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো জোর-জবরদস্তি করা হচ্ছে না। এদিকে, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক মহল। এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ জামসেদ জানান, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর