বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মুক্তিপণ দাবিতে ১০০ জেলে অপহরণ, দশ ট্রলার লুট

সাগর উপকূলে জলদস্যু আতঙ্ক

মুক্তিপণ দাবিতে ১০০ জেলে অপহরণ, দশ ট্রলার লুট

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে গণডাকাতি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল ভোররাত পর্যন্ত জলদস্যু রাজা, ফরহাদ ও আলামীন বাহিনীর সদস্যরা সংগঠিত হয়ে জেলে বহরে হানা দেয়। এ সময় ১০টি ট্রলারসহ বাগেরহাট, শরণখোলা, পারেরহাটের চরখালী, পাথরঘাটা, কক্সবাজার ও বাঁশখালী থেকে অন্তত ১০০ জেলেকে মুক্তিপণ দাবিতে অপহরণ করে। ২০-২৫টি ট্রলারের জাল কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেয় দস্যুরা। লুট করে আহরিত মাছ, জ্বালানি তেল, মোবাইল সেট ও অন্যান্য মালামাল। এতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, শরণখোলা মৎস্য সমিতি ও মৎস্য ব্যবসায়ী সূত্র গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জাতীয় মৎস্য সমিতি শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর তালুকদার জেলেদের বরাত দিয়ে গতকাল বিকালে জানান, রাজা, ফরহাদ ও আলামীন বাহিনীর শতাধিক দস্যু ৩-৪টি ট্রলারযোগে এসে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত সাগরে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এ সময় বয়ার আশপাশে বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক ট্রলার মাছ ধরায় নিয়োজিত ছিল। দস্যুরা একে একে ট্রলারগুলোতে হানা দিয়ে প্রত্যেক ট্রলার থেকে একজন মাঝি, আহরিত মাছ, জ্বালানি তেল ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়। কক্সবাজার ও বাঁশখালী এলাকা থেকে তারা নিয়ে গেছে ১০টি ট্রলার। পরে দস্যুরা সাগরে পেতে রাখা ২০-২৫টি জাল কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেয়। অপহৃত জেলেদের মধ্যে শরণখোলার কামাল মোল্লা, আসাদুল, ফোরকান ও বাবুল মাঝির নাম জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি মৎস্য সমিতির ওই নেতারা। এদিকে বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান জানান, তিনি সাগরে ডাকাতির খবর শুনেছেন। অপহৃতদের মধ্যে তার এলাকার কতজন জেলে রয়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী মেহেদী মাসুদ জানান, সাগরে ট্রলার ডাকাতি ও জেলে অপহরণের বিষয়টি তারা খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর