বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

টাঙ্গাইলের পলাতক এমপি-মেয়রকে ধরতে মাঠে পুলিশ

টাঙ্গাইলের পলাতক এমপি-মেয়রকে ধরতে মাঠে পুলিশ

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে গ্রেফতারে মাঠে নেমছে পুলিশ। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ঢাকা ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে। অপরদিকে সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার  অপর দু’ভাই ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা) আত্মগোপনে রয়েছেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় নিজ বাসার কাছ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্তের এক পর্যায়ে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ গত আগস্টে আনিসুল ইসলাম (রাজা) ও মোহাম্মদ আলী নামক দু’জনকে গ্রেফতার করে। এরা দু’জনেই সাংসদ আমানুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগি হিসেবে পরিচিত।

রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে রিমান্ডে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত ২৭ আগস্ট রাজা এবং ৫ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আলী টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে ফারুক আহমেদ হত্যার সঙ্গে সাংসদ আমানুর, মেয়র মুক্তি এবং তাদের অপর দু’ভাই জাহিদুর ও বাপ্পার জড়িত থাকার কথা উঠে আসে।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, সাংসদ আমানুর ও মেয়র মুক্তিকে গ্রেফতার করতে টাঙ্গাইল পুলিশের একাধিক দল ঢাকায় রয়েছে। তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের সহায়তায় তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। বুধবার সাংসদের ন্যাম ফ্ল্যাটের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু সাংসদের ফ্ল্যাট থেকে সারাদিন কেউ বের হননি বলে অভিযানে অংশ নেয়া একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এদিকে গ্রেফতার এড়াতে সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও টাঙ্গাইল পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি আত্মগোপন করেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এর আগে ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাকন) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা) দীর্ঘদিন যাবত আত্মগোপনে রয়েছেন। এতদিন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও টাঙ্গাইল পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি শহরে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও গত ২/৩ দিন যাবত তাদের আর দেখা যায়নি। তারা ৪ ভাই শহর ছেড়ে পালিয়েছে বলে টক অব দা টাউনে পরিনত হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/২৭ নভেম্বর ২০১৪/আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর