বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মির্জাপুরে ৪ জনকে পুড়িয়ে হত্যার মুল আসামী জাহাঙ্গীরের জবানবন্দী

মির্জাপুরে ৪ জনকে পুড়িয়ে হত্যার মুল আসামী জাহাঙ্গীরের জবানবন্দী

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দক্ষিন সোহাগপাড়া গ্রামের মা ও তিন মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মুলহোতা জাহাঙ্গীর আলম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

আজ বিকেলে তাকে কোর্টে অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সাহাদত হোসেনের সামনে হাজির করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। সেই সাথে জবানবন্দী শেষে জাহাঙ্গীরকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর ভোরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপড়া গ্রামে মালয়েশিয়া প্রবাসী মজিবুর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩৫) এবং তার ৩ মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী মনিরা আক্তার (১৪), বাক প্রতিবন্ধী মীম আক্তার (১০) ও ব্র্যাক স্কুলের নার্সারী শ্রেণীর শিক্ষার্থী মলি আক্তার (৭) একই গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম তার সহযোগীদের নিয়ে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ব্যাপারে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই পৈশাচিক ঘটনার ওইদিন রাতেই নিহত হাসনা বেগমের ছোট ভাই মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মমালা দায়ের করেন।

মামলায় একই গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমেক প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহার ভূক্ত ৪ আসামীসহ সন্দেহভাজন ১৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও মূল হোতা জাহাঙ্গীর থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে।

তাকে ধরিয়ে দিতে গত ১১ অক্টোবর মির্জাপুর থানায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষনা করেন। পুরস্কার ঘোষনার পরও জাহাঙ্গীর ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে। অবশেষে ৪৭ দিন পর পুলিশের পাতা ফাঁদে ২২ নভেম্বর শনিবার রাতে জাহাঙ্গীর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ নভেম্বর ১৪/ সালাহ উদ্দীন


 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর