শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মেঝেতে চিকিৎসা নেন অর্ধেক রোগী, নেই কার্ডিওলজি বিভাগ

মেঝেতে চিকিৎসা নেন অর্ধেক রোগী, নেই কার্ডিওলজি বিভাগ

নামেই নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল। বাস্তবে নেই আধুনিকতার ছোঁয়া। রয়েছে চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল সঙ্কট। ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হন আড়াইশ রোগী। এরমধ্যে ১৫০ জনই চিকিৎসা নেন মেঝেতে। আধুনিক এ হাসপাতালটিতে নেই কার্ডিওলজি বিভিাগ। চিকিৎসা না পেয়ে গত আট মাসে এখানে হৃদরোগে আক্রান্ত ৮০ জন রোগী মারা গেছেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৪২ জনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন। এসব সমস্যার মধ্যেই এ হাসপাতালটি আড়াইশ শয্যায় রুপান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও জনবল সঙ্কটে খুঁড়িয়ে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম। ৩৫ পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন ২৫ জন। নেই শিশু বিশেষজ্ঞ, অর্থোসার্জারি, জুনিয়র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, এনসথেসিয়া ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ৩৯টি পদ শূন্য। চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবন বা কোয়াটার থাকলেও তা অপর্যাপ্ত। জরাজীর্ণ ভবনে থাকেন নার্সরা। ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার রোগী এলেও ভর্তি করা হয় মাত্র আড়াইশ। বাকি রোগীদের বাধ্য হয়ে যেতে হয় বেসরকারি মেডিকেলে। আর শয্যার অভাবে ভর্তি হওয়া দেড়শ রোগী চিকিৎসা নেন মেঝেতে থেকে। ওষুধও দেওয়া হয় একশ রোগীর। বাকি ওষুধ কিনতে হয় বাইরে থেকে। নার্স, ওয়ার্ডবয় ও কর্মচারীদের দৌরাত্দ্যে নিয়মিত হয়রানির শিকার হন রোগীরা। গত আট মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৫০ জন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এরমধ্যে ৮৬ জনকে মেডিসিন কনসালটেন্টের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় ২০০ জনকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেলে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগ না থাকায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। বাইরে থেকে রোগ নির্ণয় করে মেডিসিন কনসালটেন্ট প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের রাজশাহী মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন। সিভিল সার্জন ফেরদৌস নিলুফার জানান, হাসপাতালের সার্বিক চিকিৎসা সেবার মান ভাল। রোগীর তুলনায় জনবল কম থাকায় চিকিৎসকদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে পারেন না। ১০০ শয্যার হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগ থাকে না বলেও জানান তিনি।

 

 

সর্বশেষ খবর