মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

১৮ বছর ঝুপড়ি ঘরে মুক্তিযোদ্ধা

১৮ বছর ঝুপড়ি ঘরে মুক্তিযোদ্ধা

হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা পরিবার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশ স্বাধীন হলো। অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু তার মাথা গোঁজার নিরাপদ ঠাঁই হলো না। আক্ষেপ করে কথাগুলো বললেন পার্বতীপুরের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবান (৬৬)। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে রেললাইনের ধারে গাছের নিচে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে আড়াইশ মিটার উত্তরে ৩ নম্বর লেভেল ক্রসিং পার হয়ে পার্বতীপুর-সৈয়দপুর রেললাইনের পশ্চিম পাশে এবং বধ্যভূমি-গণকবর স্মৃতিস্তম্ভের পূর্বধার ঘেঁষে একটি বটগাছ। এই বটগাছের নিচে বাঁশের চাটাইয়ের সঙ্গে পলিথিন দিয়ে চারপাশ ঘেরা এবং ওপরে টিনের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট ঝুপড়ি ঘর। ঝুপড়ির মধ্যে একটি চৌকি ছাড়া কোনো আসবাবপত্র নেই। এই ঝুপড়ি ঘরেই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবান ও তার স্ত্রী জমিলা (৫০) ১৯৯৬ সাল থেকে বসবাস করছেন। ঝুপড়ির বারান্দায় চলে রান্নার কাজ।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবান আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হলো। অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও তার মাথা গোঁজার নিরাপদ ঠাঁই হলো না। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ছিদ্দিক হোসেন বলেন, আবদুস  সোবানকে পুনর্বাসনের জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে অনেক আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি নেশাদ্রব্য খেয়ে সব টাকা উড়িয়ে গাছতলায় শুয়ে শুয়ে ঘুমালে করার কী আছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ভালো থাকুক এটা আমরাও চাই।

সর্বশেষ খবর