শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

আন্দোলনে সাড়া নেই শেরপুর বিএনপির

আন্দোলনে সাড়া নেই শেরপুর বিএনপির

২০ দলীয় জোটের চলমান আন্দোলনে সাড়া নেই শেরপুর বিএনপির। আন্দোলন নেই বলে পুলিশি হয়রানিও নেই। ফলে ফুরফুরা মেজাজেই আছেন নেতারা। অন্যদিকে পদ-পদবি নিয়ে লবিং-গ্রুপিং ঠিকই আছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারিতে জেলা বিএনপির আহ্বানে দলীয় অফিসে ১৪ দলের কর্মসূচির ৩০০ গজ দূরে একটি সভা এবং টানা দুই মাসের আন্দোলনে দলীয় অফিসে আরও দুটি আন্তঃবৈঠক হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অণুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। নকলা উপজেলা ছাড়া অন্য চার উপজেলার পৌর এলাকাগুলো বিএনপিঅধ্যুষিত হলেও কোথাও আন্দোলনের ছিটেফোঁটোও নেই। তৃণমূলের চাপ ও দলের শীর্ষপর্যায় থেকে নেতাদের মোবাইলে আন্দোলনের তাগিদ আসলেও আন্দোলনের ব্যাপারে কারও আগ্রহ নেই। বিগত ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের আগে ঢাকা থেকে এক ঝাঁক নেতা শেরপুরের তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য রঙ-বেরঙের পোস্টার সাঁটিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পোস্টার সাঁটানো নেতাদের চলমান আন্দোলনসহ কোনো কর্মসূচিতে দেখা মেলেনি। শেরপুরে বিএনপির কিছু নেতা আছেন যারা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সরকারি দলের সঙ্গে মিলেমিশে বহাল তবিয়তে আছেন। আন্দোলনের কথা বললে তারা মামলার ভয় দেখিয়ে কর্মীদের ঠাণ্ডা রাখেন। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু রায়হান রুপন বলেছেন, আন্দোলনে কর্মীরা প্রস্তুত থাকলেও নেতাদের সাড়া নেই। নেতারা আন্দোলনের চেয়ে সরকারি দলের দালালি করে শান্তিতে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শওকত হোসেন ও যুগ্ম আহবায়ক এমএ মাসুদ জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেত্রী আক্রান্ত হলেও শেরপুরের নেতারা সামান্যতম ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে আগ্রহী না। সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নামতে চাইলে শীর্ষ নেতাদের সাড়া মেলে না। জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাহাত ও আতা জানিয়েছেন, আন্দোলনের জন্য হাজার হাজার নেতা-কর্মী ডাকের অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুকোনুজ্জামান তারেক জানিয়েছেন, বিএনপিতে আওয়ামী লীগের লোক থাকলে আন্দোলন হবে কিভাবে। শহর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রয়েল জানিয়েছেন, ভুল নেতৃত্বের কারণে জেলায় জনপ্রিয় এই দলটি আজ শেষ হওয়ার পথে। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক আশীষ বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির লোক এ পরিচয় দিতেও লজ্জা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদুল হক রুবেল বর্তমানে কোথায় আছেন- জানা যায়নি। তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি ।

 

সর্বশেষ খবর