বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা নিহত

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা নিহত

পাবনার মুলাডুলিতে চৈত্র মেলার দোকানের ইজারাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা বাধন খন্দকার নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। আজ দুপুরে জেলার ঈশ্বরদীর মুলাডুলীতে রেল স্টেশনের পাশের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ও প্রায় ১০টি মোটর সাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।

ঈশ্বরদী সার্কেলের পুলিশ সহকারী পুলিশ সুপার শাহনুর আলম পাটোয়ারী জানান, মুলাডুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিলন খন্দকার গ্রুপের মধ্যে মুলাডুলী রেল স্টেশনের পাশের মাঠে চৈত্র মেলার দোকান পাটের ইজারা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এরই এক পর্যায়ে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে হাটের দখলকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপ সশস্ত্র অবস্থায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ বাঁধন খন্দকারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে নেয়ার পথে মারা যায়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা মুলাডুলি স্টেশনের পাশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন মিঠুর ও তার সমর্থকদের একটি প্রাইভেট কার ও প্রায় ১০টি মোটর সাইকেলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। নিহত বাধন খন্দকার মুলাডুলি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা। সে যুবলীগ নেতা মিলন খন্দকার গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিল। আহতরা পাবনা জেনারেল হাসপাতাল, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন মিঠু ওই মেলায় জুয়ার আসর ও দোকান ইজারা নিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে আসছিল। জুয়া খেলা বন্ধসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে মিলন খন্দকার গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠলেই তাদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে বলেও তারা দাবি করেন। তবে পুলিশ মূল বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।

ঘটনার পরপরই পাবনা ও ঈশ্বরদী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলে জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) মুস্তাইন হোসাইন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আরো বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি স্টেশন এলাকায় ঘটেছে তাই জিআরপি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে থানা পুলিশও সার্বিক সহায়তা করবেন বলেও জানান তিনি। মেলায় জুয়া ও দোকান ইজারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলে দাবী করে আরো বলেন, তদন্ত চলছে, এর পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ মার্চ ২০১৫/শরীফ



 

সর্বশেষ খবর