রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

শ্রীপুরে বনাঞ্চলের মাটি চুরির হিড়িক

শ্রীপুরে বনাঞ্চলের মাটি চুরির হিড়িক

গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর বনবিটের তেলিহাটী ইউনিয়নের টেংরা এলাকায় কাটা হচ্ছে মাটি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

গাছকাটা ও পাচারসহ বনভূমি দখলবাজির কারণে অনেক আগেই গাজীপুরের শালবন ধ্বংসের প্রায় শেষ সীমানায় গিয়ে পৌঁছে। অবশিষ্ট বনাঞ্চলজুড়ে এবার চলছে মাটি চুরির মহোৎসব। রাক্ষুসে মাটিচোর চক্রের সদস্যরা রাতের অাঁধারে বনাঞ্চলে এঙ্কেভেটর দিয়ে কেটে নিচ্ছে মাটি। চোর চক্রের সদস্যরা চুরির ওই মাটি সিরামিক কারখানাসহ নির্মীয়মাণ বিভিন্ন কারখানা ও ইটখোলায় চড়াদরে বিক্রি করছে। বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মাটি চুরির ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাটি চোর চক্রের সদস্যরা বনাঞ্চলের সুবিধামাফিক স্থান বেছে নিয়ে প্রথমে গাছ কেটে সাবাড় করে। পরে ওই কাটা গাছের গোড়া উৎপাটন করে বনাঞ্চলে আগুন দেয়। এরপর আগুনে পুড়ে যাওয়া ছাই সরিয়ে শুরু হয় মাটিকাটা। ১০ থেকে ২০ ফুট গর্ত করে কাটা হয় মাটি। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় গভীর গর্ত। যেন পুকুর বা খাল কাটা হয়েছে। ওই গর্তগুলোতে ভবিষ্যতেও বনায়ন সম্ভব নয়। বনাঞ্চলে মাটি কাটার ঘটনা স্বীকার করে শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু জাফর জানান, বনাঞ্চলে মাটিকাটা অপরাধ। ঘটনাটি একেবারে একটি নতুন বিষয়। বিভিন্ন সময় অভিযানে মাটি চোরচক্রের ট্রাক জব্দসহ সদস্যদেরও আটক করা হয়েছে। গাছপালা সাবাড় করে মাটিকাটায় চলতি ২০১৫ সালে ১৯টি মামলা করা হয়েছে। মাটি কাটায় চোরচক্রের সঙ্গে বন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মোখলেসুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা নয়, নির্লিপ্ততার অভিযোগও প্রমাণ হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর