মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

এক গ্রামের আসামি ধরতে অন্য গ্রামে অভিযান গুলি, আহত ৫

এক গ্রামের আসামি ধরতে অন্য গ্রামে অভিযান গুলি, আহত ৫

গুলিবিদ্ধ নারী (বাঁয়ে), গুলির খোসা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কেশেরা গ্রামের আসামি শহিদুল ইসলামের বদলে পুলিশ পরচঙ্গা গ্রামের আরেক শহিদুল ইসলামকে ধরতে যায়। এ সময় পুলিশের গুলি ও মারধরে আহত হন পাঁচজন। গতকাল দুপুরে আহতদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রাম পুলিশ তাদের ভুল তথ্য দেন। ঘটনাক্রমে উত্তেজিত জনতাকে দূরে সরাতে এক কনস্টেবল গুলি চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের কেশেরা গ্রামের গফুর মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। শনিবার রাতে এসআই আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ কেশেরার বদলে মহিচাইল ইউনিয়নের পরচঙ্গায় কৃষক শহিদুল ইসলামের বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। শহিদুল বলেন, 'আইনের লোক পরিচয়ে অনেক সময় ডাকাতি হয়, তাই আমরা চেয়ারম্যান এলে দরজা খুলব বলে জানাই। এ সময় পুলিশ গালাগাল ও দরজায় লাথি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে। আমাকে রক্ষা করতে এসে আহত হন আমার স্ত্রী রফেজা ও ছোট ভাই মফিজুলের স্ত্রী মরিয়ম।' এছাড়া পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন পরচঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধা মাফিয়া বেগম ও আবুল হাশেম। মাফিয়ার ডান হাতে চারটি এবং ডান চোয়ালে একটি গুলি লাগে। তিনি পরচঙ্গা গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী। হাশেমের বাবার নাম আবদুল খালেক।

মাফিয়া বেগমের ছেলে জসিম জানান, পুলিশের গুলিতে আমার মা আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ বা প্রশাসনের কোনো লোক তার খোঁজখবর নেননি। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। মহিচাইল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম রুহুল আমিন জানান, ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম তার প্রতিবেশী। তার নামে কোনো মামলা নেই। পুলিশ কেশেরা গ্রামের বদলে পরচঙ্গায় অভিযান চালায়। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ আসার খবর পেয়ে শহিদুলের বাড়ি যাই। সেখানে এসআই মামুনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা না শুনেই শহিদুলকে মারধর করতে থাকেন। তার চিৎকারে গ্রামবাসী জড়ো হলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। চান্দিনা থানার ওসি রসূল আহমদ জানান, বিষয়টি আমরা ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে মীমাংসা করেছি। গুলিবিদ্ধ মহিলার চিকিৎসার খরচ আমরা বহন করব এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর